কিডনি ও মস্তিষ্কের প্রোটিন কাজে লাগিয়ে রোগ সারানো যায়

কিডনি ও মস্তিষ্কের প্রোটিন কাজে লাগিয়ে রোগ সারানো যায়

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ২৬ মার্চ, ২০২৩

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল নেফ্রোলজিস্ট ও নিউরোসায়েন্টিস্ট ফেব্রুয়ারির ৬ তারিখে, ‘সেল’ জার্নালে অনলাইনে একটা গবেষণা প্রকাশ করেছেন। এই গবেষণার বিষয় হল মানুষের জীবন মৃত্যুর সাথে সরাসরি যুক্ত একটা প্রোটিন কীভাবে কাজ করে। এর অণুগুলো বিভিন্ন কলা, অঙ্গ যেমন কিডনি থেকে মস্তিষ্ক, অন্তস্থ কর্ণ, ফুসফুসের বায়ুথলির, লক্ষ লক্ষ কোশের পর্দা ভেদ করে চলাচল করে।
LRP2 নামে পরিচিত এই প্রোটিন, পোকা থেকে মানুষ সকলের শরীরেই পাওয়া যায়। কোশপর্দার অন্য প্রোটিনের তুলনায় LRP আকারে এতটাই বড়ো যে, মেরিলিন ফারকুহার এবং ডন্টসকো কেরজাস্কি প্রথম যখন এই প্রোটিন আবিষ্কার করেন, তখন এর নাম দেন মেগালিন। সমস্ত প্রোটিনের আণবিক স্তর নির্মাণ যে অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে হয়, LRP ৪৬০০-র বেশি সেই অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি। কিডনি শরীর থেকে মূত্র হিসাবে নির্গমনের সময় জল থেকে ৯৯% লবণ ও ১০০% ক্ষুদ্র প্রোটিন পরিশ্রুত করে শরীরে ফেরত পাঠায়, এটা আগে জানা থাকলেও, কোশে আণবিক স্তরে তার কাজ অ্যান্ড্রু বেনকেন, অ্যান্থনি ফিটজপ্যাট্রিক এবং ল্যারি শাপিরো আবিষ্কার করেছেন।
জোনাথন বারাশ, এমডি, পিএইচডি, কলম্বিয়ার ভ্যাগেলোস কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের ইউরোলজি এবং নেফ্রোলজির একজন বিশেষজ্ঞ ও চিকিত্সক এবং এই গবেষণার সাথে যুক্ত, আশা প্রকাশ করেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনের কার্যকলাপ, আর পরিব্যক্তির ফলে এর কাজ কীভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তা নিয়ে গবেষণা কিডনি ও মস্তিষ্কের রোগ সারানোর ক্ষেত্রে একটা বড়ো ভূমিকা নেবে। এই প্রোটিনের আণবিক গঠন জানার ফলে গুরুতর কিডনির আঘাতে অথবা ক্রনিক কিডনির রোগে বা অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ সারানোর ক্ষেত্রে একটা বড়ো সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + fifteen =