ইউরেনাসের উপগ্রহ মিরান্ডা নিয়ে নতুন তালাশ

ইউরেনাসের উপগ্রহ মিরান্ডা নিয়ে নতুন তালাশ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৪ এপ্রিল, ২০২৩

প্ল্যানেটারি সায়েন্স জার্নালে হালে একটা গবেষণার খবর বেরিয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় দ্য কার্ল সাগান সেন্টারের দুজন গবেষক ইউরেনাসের উপগ্রহ মিরান্ডার ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়েছেন। উপগ্রহের উপরে যে ঘন শিলাচূর্ণের স্তর, সেটা এলো কোত্থেকে? এটাই ছিল ওনাদের জিজ্ঞাস্য।
মিরান্ডার অভ্যন্তরে গঠন কেমন? বা উপগ্রহটার ভেতরে কতটা তাপ আছে? সেখান থেকেই বোঝা যাবে কোনও কালে মিরান্ডায় কোনও উপসাগর ছিল কিনা। নাসার আমেস রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী ডঃ ক্লো বেডিংফিল্ড বলছেন, মিরান্ডার জমির নীচে সাগর আছে এমন ধারণাটা প্রায় অসম্ভব। কারণ উপগ্রহের আয়তন অনেকটাই ছোট। কিন্তু পাথরের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি একটা মোটা স্তর যদি মাটির উপরে থাকে তাহলে সেটা কম্বলের মতো কাজ করবে। এতে করে মিরান্ডার ভূগর্ভে তাপশক্তি বন্দী হয়ে থাকতে পারে। এই তাপের প্রভাবে মিরান্ডার এক বা একাধিক উজ্জ্বল বলয়ও (করোনা) সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।
ঐ শিলাচূর্ণের ভৌগলিক নাম রিগোলিথ। অর্থাৎ, শক্ত পাথরের স্তরের উপরে থাকা অবিন্যস্ত আলগা ছোট টুকরো টুকরো পাথর আর ধুলোর স্তর। চাঁদের বা মঙ্গলগ্রহের উপরিতলের পদার্থকে এই সংজ্ঞা অনুযায়ী রিগোলিথ বলে ডাকা হয়। কিন্তু এটার চরিত্র পৃথিবীর মাটির মতো একেবারেই নয়। মাটিতে যেমন যথেষ্ট পরিমাণে আবশ্যিক পোষক পদার্থ আর খনিজ থাকে, তেমনটা রিগোলিথের ক্ষেত্রে নয়। তাই ওটাকে ডেড সয়েল বা মৃত মৃত্তিকা বলা হয়।