পলিয়েস্টার রিসাইকেল করার সস্তা উপায়

পলিয়েস্টার রিসাইকেল করার সস্তা উপায়

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৫ এপ্রিল, ২০২৩

একটা টিশার্ট, কম্বল আর সোডা বোতলের মধ্যে মিল কোথায়? – সঠিক উত্তর হতে পারে পলিইথিলিন টেরেপথ্যালেট বা সংক্ষেপে পেট। ১৯৪০ সালে এই পদার্থটার পেটেন্ট নেওয়ার পর থেকে বলা যায় উৎপাদন শিল্পে এক নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটে গেছে। পেট সত্যিকার সর্বত্রব্যাপী প্লাস্টিক।
ন্যাশানাল রিনিউয়েবেল এনার্জি ল্যাবরেটরির বরিষ্ঠ গবেষক গ্রেগ বেকহ্যাম বলছেন, পেট থেকে তৈরি পোশাক আর কার্পেট আজকের দিনে দাঁড়িয়ে গতানুগতিক উপায়ে রিসাইকেল করা হয় না। বরং অন্য উন্নত বিকল্প পদ্ধতির সন্ধান চালানো হচ্ছে। পেট-কে পলিমারমুক্ত করার জন্য এনজাইম সৃষ্টি করার কাজ চলছে বিভিন্ন ল্যাবে। কিন্তু সমস্যা একটাই – সব উপায়েই শক্তির ব্যবহার আর আর্থিক বোঝাটা একটু বেশিই।
গ্রেগ বেকহ্যামের কথার প্রতিফলন হাতেনাতে পাওয়া যাবে শহরের যেকোনো আস্তাকুঁড়ে কিংবা ভাগাড়ে। রিসাইকেল না হওয়া পেট প্লাস্টিক ঘুরেফিরে প্রকৃতিতেই ফিরে এসে দূষণ তৈরি করে।
কিন্তু তবুও, বেকহ্যামের আশা রয়েছে যে গল্পটা ধীরে হলেও বদলাচ্ছে। মেশিন লার্নিং আর সিনথেটিক বায়োলজিতে অগ্রগতি যে হারে হচ্ছে, তাতে এনজাইমের কাণ্ডকারখানা একেবারে আণবিক স্তর অবধি বোঝা যায়। নেচার কমিউনিকেশন পত্রিকায় তেমনই একটা গবেষণাপত্র প্রকাশ করলেন গ্রেগ ও তাঁর সহকর্মীরা। পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আর মন্টানা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা মিলে নতুন এনজাইমের প্রকরণ আবিষ্কার করেছেন। সবচেয়ে জেদি আর শক্ত পেট প্লাস্টিককে ভাঙতে পারে এমন উৎসেচকের সন্ধান তাঁরা দিতে পেরেছেন বলে দাবী।