করোনা নয়, অথচ আক্রান্ত ৪ লক্ষ!

করোনা নয়, অথচ আক্রান্ত ৪ লক্ষ!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

গতবছর থেকে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়া পৃথিবীতে ৪৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে পরিসংখ্যানবিদরা জানাচ্ছেন। কোভিড-১৯ মানুষের কাছে ইতিমধ্যে আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে গবেষণার অন্ত নেই। কীভাবে এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করবে মানুষ? সেই নিয়েই চলছে নানারকমের গবেষণা।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের ডিউক-এনইউএস স্কুলের বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা করেছেন যেটা সাধারণ মানুষের অস্বস্তি আরও বাড়াতে পারে। উদ্বেগ বাড়াতে পারে বিজ্ঞানীদের। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকবছর পৃথিবী জুড়ে গড়ে ৪ লক্ষ মানুষের শরীরে কোভিড-১৯-এর ভাইরাসেরই মত আরও একটি ভাইরাস প্রবেশ করে! কিন্তু এর মধ্যে অধিকাংশ আক্রান্তদের বিষয় চিকিৎসকদের, বিজ্ঞানীদের কাছে অধরাই হয়ে থাকে। তার একটা কারণ বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সত্বেও প্রচুর মানুষের মধ্যে কোনও লক্ষণই দেখা যায় না। আর একটা কারণ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসটি করোনার ভাইরাসের মত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে খুব দ্রুত আর সহজে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু সার্স সম্পর্কিত এই ভাইরাসের তীব্রতা? বিজ্ঞানীরা বলছেন সাংঘাতিক, করোনার মতই ভয়াবহ।
গবেষণা জানিয়েছে, করোনার মত সার্স সম্পর্কিত এই ভাইরাসের উৎপত্তি বাদুড় থেকে। বাদুর এমন এক প্রাণী যার সঙ্গে অন্যান্য প্রাণী এবং মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায়শই হয়। আর বাদুড়ের শরীর থেকেই এই করোনার মত ভাইরাসটি অন্যদের মধ্যে ছড়ায়। তাই বিজ্ঞানীদের মতে প্রাথমিক ‘স্পিলওভার’-টা প্রতিরোধ না করতে পারলে এই নতুন ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা কঠিন।
ডিউক স্কুলের বিজ্ঞানীরা আরও একটি নজরে রাখার মত তথ্য জানিয়েছেন। ২০১৬-তে চিনে প্রায় দেড় কোটি মানুষ সরাসরিভাবে পেশাদারিভাবে ওয়াইল্ড-লাইফের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রত্যেকটি মানুষকে তাই কতবার অন্যান্য প্রাণীর মত বাদুড়দের সংস্পর্শে আসতে হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই! ডিউক স্কুলের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন করোনারই মত এই নতুন ভয়াবহ ভাইরাস ছড়ানোর নেপথ্যের নায়ক সেই চিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =