একটি পাখির লেজের পালক দেহের দেড়গুণ হয়, শতকরা হিসেবে বললে বলতে হয় ১৫০%। ১২ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে বাস করত সে পাখির প্রজাতি। কিন্তু দীর্ঘ পালক উড়তে সাহায্য করতো না পাখিকে, সাহায্য করতো সাথী খুঁজে পেতে। গত বৃহস্পতিবার (১৬/০৯/২০২১) কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধ থেকে জানা যাচ্ছে, উত্তর চীন থেকে পাওয়া ফসিল থেকে এ তথ্য আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। চৈনিক পুরাণের ইয়াঞ্চু পাখির নামানুসারে পাখিটির নাম দেওয়া হয়েছে ইয়াঞ্চুয়াভিস। আধুনিক ব্লু জায় পাখির তুল্য ফসিল-প্রাপ্ত পাখিটি।
জীবাশ্মবিদ জিংমাই ওকোনোর জানাচ্ছেন, এর আগে কখনো জীবাশ্মে এমন অদ্ভুত আকৃতির লেজের পালক দেখেননি তাঁরা।
এই পাখির ডানার গোড়ায় বেস হিসেবে থাকত পালক আর তার সঙ্গে সংযুক্ত দীর্ঘ পালক। দীর্ঘ পালক আসলে মেরুদণ্ড দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করত পাখি। ছোট্ট ডানার সঙ্গে দীর্ঘ লেজের এই কম্বিনেশনকে বলা হয় পিন্টেল। আধুনিক সানবার্ড বা কুয়েতজাল ইত্যাদি পাখিদের মধ্যে এই কম্বনেশন দেখা যায়। ওকোনোর জানাচ্ছেন, ইয়াঞ্চুভিসের ওড়ার ক্ষমতা কুয়েতজালের মতোই স্বল্প ছিল। বিজ্ঞানীদের ধারণা দুটি ভিন্ন প্রজাতির লেজ- পালকের সংমিশ্রণে ইয়াঞ্চুভিসের লেজ ও পালক অমন আকার নিয়েছিল। আর ওই বিচিত্র পালক আকর্ষণ করত পুরুষ পাখিদের। ফসিল থেকে সবসময় সঙ্গী নির্বাচনের তথ্য জানা যায় না। তবে এ পাখির সংরক্ষিত পালকই সেসব তথ্য জানতে সাহায্য করেছে।