নাসার ইনজেনুইনিটি হেলিকপ্টারের অত্যাধুনিক ক্যামেরা মঙ্গলপৃষ্ঠে একটি পাথরে ঢাকা টিলা খুঁজে পেল! তুলল তার ‘থ্রি-ডি’ ছবিও। সেই ছবি থেকে যা উদ্ধার করা গিয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে টিলাটি চওড়ায় প্রায় ৩৩ ফুট। আর সেটার ধার দিয়ে একটা ‘রেডলাইন’ গিয়েছে ৯০০ মিটারেরও বেশি দূরত্ব পর্যন্ত। পাথর ছাড়াও ওই টিলার ওপরের অংশে প্রচুর পরিমাণে বালির অস্তিত্বও পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন সেই বালির অংশ দেখে যে, মঙ্গলে একসময় জিজেরো আগ্নেয়গিরি ছিল এবং তার বিশাল বিশাল অগ্ন্যুৎপাতেই সৃষ্টি হয়েছিল জিজেরো গহ্বর। যা পরবর্তীকালে টিলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
ইনজেনুইনিটি হেলিকপ্টারকে মঙ্গলে পৌঁছে দিয়েছিল নাসারই পারসিভারেন্স রোভার উপগ্রহ। নাসা জানাচ্ছে এটাও এক ইতিহাস। প্রথমবার কোনও হেলিকপ্টার, পৃথিবী থেকে গিয়ে অন্য গ্রহের ওপর দিয়ে উড়ল, বিরল ছবিও তুলতে পারল। নাসার তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, পারসিভারেন্স রোভার উপগ্রহ মঙ্গলে পাঠানোর অন্যতম উদ্দেশ্য হল জ্যোর্তিবিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান আরও উন্নত করা এবং সর্বোপরি মঙ্গলে কোনওদিন ‘মাইক্রোবায়াল’ জীবন ছিল কী না সেই সম্পর্কে জানা। রোভার সেই কাজই করতে ওখানে গিয়েছে, মঙ্গলের ভূতত্ব, এবং প্রাচীনকালে তার আবহাওয়া কীরকম ছিল সেসব জানাও তার লক্ষ্য। সেখানে থেকেই নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, জানা যাবে মঙ্গলেও প্রাচীনকালে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না। আর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী, মহাকাশচারীদের পক্ষে আরও সুবিধে হবে মঙ্গল নিয়ে গবেষণা করার।