ভারতের এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

ভারতের এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৩ জানুয়ারী, ২০২৪

এক উচ্চাভিলাষী মহাকাশ অনুসন্ধান প্রকল্পের অংশ হিসাবে সম্প্রতি ব্ল্যাক হোল অধ্যয়নের জন্য ভারত তার প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারত একটি জ্যোতির্বিদ্যাগত মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ব্যবহার করে ব্ল্যাক হোল এবং অন্যান্য মহাকাশীয় বস্তুর অনুসন্ধান চালাবে আর সেক্ষেত্রে ভারতের স্থান হবে দ্বিতীয়। ২০২১ সালে নাসা অনুরূপ একটি মিশন চালু করেছে এবং তারপর থেকে অভূতপূর্ব সব আবিষ্কার করে চলেছে। কোনো সুপারনোভা বিস্ফোরণের সময়ে খসে পড়া কোনো তারার অবশিষ্টাংশ থেকে গঠিত ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের মধ্যে বিপুল পরিমাণ পদার্থ একটি ছোটো অংশে বন্দী থাকে। তাদের মহাকর্ষীয় টান এত শক্তিশালী যে আলো তার মধ্য দিয়ে যেতে পারে না, তাই তাদের শনাক্ত করা খুব কঠিন হয়ে পরে। কৃষ্ণগহ্বরের ক্ষমতা এতটাই বেশি যে তার মধ্যে থেকে আলোও বেরোতে পারে না। গিলে নেয় ছোটো-বড়ো অনেক গ্রহ-নক্ষত্রকে। এর মধ্যে দিয়ে আলো পেরোতে পারে না বলে কৃষ্ণগহ্বরকে দেখতে পাওয়া যায় না। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এই উৎক্ষেপণটি দেশের বৃহত্তর মহাকাশ লক্ষ্যের অংশ, যার মধ্যে অন্তর্গত হল তিনটি মহাকাশচারীকে নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে পাঠানো এবং তিন দিন পর তাদের ফিরিয়ে আনা। যদি ভারত সফল হয়, তবে ভারতবর্ষ হবে চতুর্থ দেশ যে দেশ মহাকাশে মানুষ পাঠিয়েছে- বর্তমানে শুধুমাত্র রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন মানব চালিত মিশন চালু করেছে। ইসরোর চেয়ারপার্সন এস সোমানাথ বলেছেন, ২০২৪ সাল হল “গগনযান প্রস্তুতির বছর”। গত বছর আগস্টে, ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটি মহাকাশযান অবতরণকারী প্রথম দেশ হয়ে ওঠে এবং সেপ্টেম্বরে এটি সূর্য অধ্যয়নের জন্য একটি রকেট চালু করে। ভারতও ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে একজন নভোচারী পাঠাতে চায়।