উত্তরাখণ্ডে দাবানল বনভূমি ধ্বংস করেছে- হিমবাহও গলে যেতে পারে, চিন্তিত বিজ্ঞানীরা

উত্তরাখণ্ডে দাবানল বনভূমি ধ্বংস করেছে- হিমবাহও গলে যেতে পারে, চিন্তিত বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৭ মে, ২০২৪

উত্তরাখণ্ড বন দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের জঙ্গল এলাকায় মোট ৮৮৬টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে বন দফতরের ১,১০৭ হেক্টর বনভূমি নষ্ট হয়েছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এই অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের উপর দাবানলের গভীর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুনের কারণে উত্তাপ তীব্র হয় এবং ব্ল্যাক কার্বন নির্গত করে, যা জল এবং বায়ুর গুণমানকে প্রভাবিত করে।
ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এফএসআই) পরিস্থিতির তীব্রতা নির্দেশ করে উত্তরাখণ্ডে অসংখ্য অগ্নি সতর্কতা জারি করেছে। ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির একজন প্রাক্তন বিজ্ঞানী, পি এস নেগি বলেন, গ্রীষ্মকালে, দাবানলের কারণে বায়ুমণ্ডলে ব্ল্যাক কার্বনের ঘনত্ব বেড়ে যায়, যা হিমবাহর গলন এবং সমগ্র বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। সারা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির পাশাপাশি, এই অঞ্চলে উত্পাদিত এবং চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া ব্ল্যাক কার্বনের পরিমাণ হিমবাহ পৃষ্ঠের প্রতিফলন হ্রাস করে যা আবার সৌর বিকিরণের শোষণকে বাড়িয়ে তোলে। অন্যদিকে এই ব্ল্যাক কার্বনের কারণে তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায় ফলত হিমবাহের গলনের মাত্রা বেড়ে যায়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান এনভায়রনমেন্টের গবেষকরা, হিমবাহে ব্ল্যাক কার্বন জমার বিভিন্ন উত্স চিহ্নিত করেছেন। তাদের মতে বনের দাবানল, অন্যান্য রাজ্য বা দেশের কারণে দূষণ এবং যানবাহন নির্গমনের মতো কার্যকলাপ ব্ল্যাক কার্বন জমতে সাহায্য করে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে হাই মাউন্টেন এশিয়া অঞ্চল এবং হিমালয়ে হিমবাহের পশ্চাদপসরণের ত্বরান্বিত গতি হিমবাহের হ্রদ ভেঙে বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 7 =