পৃথিবীর তাপমাত্রা বছরে ১ ডিগ্রি বাড়লে ভারতের গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) ৩ শতাংশ কমে যাবে! অ্যাডভান্সিং আর্থ অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স নামের এক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গবেষণাটি করেছে সম্প্রতি। তাদের পর্যবেক্ষণ, আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের অনিশ্চয়তা ও দুর্বলতার সঙ্গে জিডিপি-র সম্পর্কের গবেষণা বলছে এই পরিপ্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ডের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। আর সবচেয়ে অবস্থাপন্ন অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র। তবে একইসঙ্গে, এ-ও বলা হয়েছে যে মহারাষ্ট্র ভাল জায়গায় আছে মানে রাজ্যটির চোখ বুঁজে থাকার প্রশ্ন নেই। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মহারাষ্ট্রের জিডিপি-ও একইরকমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হয়ত অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় একটু দেরিতে শুরু হবে তার ক্ষতিটা। কিন্তু মোদ্দা কথা তাপমাত্রা বৃদ্ধি হলে ভারতের সমস্ত রাজ্যের জিডিপি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ সংস্থা ইতিমধ্যে বলে দিয়েছে এই সতর্কবার্তা ভবিষ্যতের জন্য নয়! এটা বর্তমান এবং ভীষণভাবে বাস্তব। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া পরিবর্তনে, মানে বিশ্ব উষ্ণায়নে কী কী হয়েছে? কৃষি উৎকর্ষতা কমে গিয়েছে, বহু অঞ্চলে জলের হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে, চরম আবহাওয়ায় অতিবৃষ্টি, খরা হচ্ছে, নষ্ট হয়ে গিয়েছে ইকোসিস্টেম খারাপ হয়ে যাচ্ছে এবং সর্বোপরি মানুষের শরীরে হানা দিচ্ছে বিভিন্নরকমের অসুখ। করোনা নামক এক ভাইরাসের পৃথিবী জুড়ে বিপ্লব যার নবতম সংযোজন!
এরপরও এই সংক্রান্ত গবেষণা থেকে বলা যেতে পারে, ভারতের যে রাজ্যগুলি আর্থিকভাবে কিছুটা শক্তিশালী, তারা হয়ত পারবে আবহাওয়া পরিবর্তনের মধ্যেও জিডিপি ধরে রাখতে। কিন্তু আর্থিকভাবে অসমর্থ রাজ্যগুলি? অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড়, ওড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গ-বিশ্ব উষ্ণায়নে আর্থিকভাবে দুর্বল এই রাজ্যগুলির পক্ষে কতটা সম্ভব হবে জিডিপি ধরে রাখা সেই নিওয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।