বার্ড ফ্লু ভাইরাস থেকে বাঁচতে গোরুর দুধ জ্বাল দিয়ে খাওয়া উচিত

বার্ড ফ্লু ভাইরাস থেকে বাঁচতে গোরুর দুধ জ্বাল দিয়ে খাওয়া উচিত

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৭ জুন, ২০২৪

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের অন্তর্গত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস-এর বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে পরীক্ষাগার তাপের প্রভাবে কাঁচা দুধে সংক্রামক এইচফাইভএনওয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের পরিমাণ দ্রুত হ্রাস পেয়েছে৷ ২০২৪ সালের মার্চের শেষের দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা টেক্সাস অঞ্চলের গোরুর দুধে এইচপিএআই এইচফাইভএনওয়ান নামক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কথা জানিয়েছেন। আজ অবধি, ১২টি রাজ্যে প্রায় ৯৫টি গবাদি পশুর পাল আক্রান্ত হয়েছে এবং তিন জন খামারের কর্মী সংক্রামিত হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা অর্জনের কোনো জিনগত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মহামারী প্রস্তুতির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই গোরুদের অবস্থা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। নিউ ইয়র্কের বাসিন্দার বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকেই এই আতঙ্কের সূত্রপাত। সেখানকার বেশ কয়েকটি পশুখামারের গোরুর দেহে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। রোগ ছড়িয়েছে আমেরিকার অন্য দুই শহর টেক্সাস এবং মেক্সিকোর বেশ কয়েকটি পশুপালন কেন্দ্রের মুরগি এবং গোরুর দেহে। গবেষণা জানাচ্ছে, বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত গোরুর দুধে এই রোগের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। সেই দুধ খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। এই ভাইরাসের হদিস পাওয়া গিয়েছে বিশেষ এক প্রজাতির পাখিদের দেহেও। এই গবেষণায় গবেষকরা পরীক্ষাগারে পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখেছেন যে ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আড়াই মিনিটের মধ্যে সংক্রামক এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাসের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তাদের মতে ৩০ মিনিটের স্ট্যান্ডার্ড বাল্ক পাস্তুরাইজেশন সংক্রামক ভাইরাসকে নির্মূল করবে। ৭২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গবেষকরা পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে সংক্রামক ভাইরাসের হ্রাস লক্ষ্য করেন, তবে, তিনটি নমুনার মধ্যে একটিতে ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত গরম করার পরে খুব কম পরিমাণে সংক্রামক ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল।
সুতরাং মনে রাখতে হবে কাঁচা দুধ খাওয়া একদম উচিত নয়, কারণ কাঁচা দুধ পাস্তুরাইজ করা হয় না। ফলে কোনও জীবাণু থাকলে তা সরাসরি শরীরে প্রবেশ করে। গরম করে খেলে সেই ভয় থাকে না। তাই গবেষকরা মনে করছেন কাঁচা দুধ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 5 =