বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে ট্যালক কার্সিনোজেনিক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে ট্যালক কার্সিনোজেনিক

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৯ জুলাই, ২০২৪

পারদের গতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সাথে সাথে আমরা অনেকেই ঘাম আটকাতে ট্যালকাম পাউডার ব্যবহার শুরু করে দিই। কিন্তু এই পাউডার মাখা শরীরের পক্ষে ভালো না মন্দ?
গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সার এজেন্সি, মানুষের ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘ট্যালক’-কে “সম্ভবত কার্সিনোজেনিক” হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। ডব্লিউএইচওর ইন্টারন্যাশেনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) বলেছে সিদ্ধান্তটি বেশ কিছু প্রমাণের উপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে। “সীমিত প্রমাণ” অনুযায়ী ট্যালক মানুষের মধ্যে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে, “পর্যাপ্ত প্রমাণ” বলছে এটি ইঁদুরের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এবং “স্ট্রং মেকানিস্টিক এভিডেন্স” অনুসারে এটি মানুষের শরীরের কোশে কার্সিনোজেনিক লক্ষণ প্রদর্শন করে। ট্যালক প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন একটি খনিজ যা বিশ্বের অনেক জায়গায় খনন করা হয় এবং প্রায়শই ট্যালকম বেবি পাউডার তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। লিয়নের আইএআরসি-র মতে, বেশিরভাগ মানুষ বেবি পাউডার বা প্রসাধনীর মাধ্যমে ট্যালকের সংস্পর্শে আসে। ট্যালক খনন করে তা প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত একটি উপাদান। ট্যালক আর্দ্রতা শোষণ করতে ও ত্বককে ঘর্ষণজনিত আঘাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কিন্তু এই ট্যালক-এ অনেক সময়ে মিশে থাকে অ্যাসবেসটস নামের একটি উপাদান। এই উপাদানটি শ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে ক্যান্সারের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। কারও কারও মতে এই ধরনের পাউডার ঘর্মগ্রন্থির ক্ষরণের পথ রুদ্ধ করে। ফলে, ঘাম আটকাতে গিয়ে হতে পারে হিতে বিপরীত। ৭০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয় মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল এবং প্রসাধনী নির্মাতা সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। অভিযোগ ছিল তার ট্যালকম পাউডার পণ্যগুলোর সুরক্ষা সম্পর্কে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করা। উক্ত টাকার অঙ্ক দিতে রাজি হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে এই ঘোষণা আসে। ২০২০ সালে উত্তর আমেরিকার বাজার থেকে পণ্যটি প্রত্যাহার করলেও জনসন অ্যান্ড জনসন তার নিষ্পত্তিতে ভুল স্বীকার করেনি।