চাঁদের মাটিতে জল-সমৃদ্ধ খনিজ আবিষ্কার করেছে চিনের চন্দ্রঅভিযান

চাঁদের মাটিতে জল-সমৃদ্ধ খনিজ আবিষ্কার করেছে চিনের চন্দ্রঅভিযান

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১১ আগষ্ট, ২০২৪

চাঁদে জল রয়েছে। নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বেশিরভাগটাই লুকিয়ে রয়েছে। কোথায় লুকিয়ে থাকতে পারে? তা এল কী ভাবে? চন্দ্রপৃষ্ঠে রয়েছে বহু মূল্যবান খনিজের আকর। তার উৎসই বা কী? এ সব নিয়ে মানুষের কৌতূহল অনেক দিনের। এই বিষয় নিয়ে নিরন্তর গবেষণাও চলছে। চিনের চ্যাং-ই-৫ ল্যান্ডার চাঁদের ধূলিকণা থেকে একটি খনিজ সংগ্রহ করেছে। তা পরীক্ষা করার জন্য পাঠিয়েছে পৃথিবীতে। দেখা গেছে খনিজটির ওজনের প্রায় ৪১% জল দ্বারা গঠিত। এই খনিজটি নোভোগ্রেবলনোভাইটের মতো। যা কয়েক বছর আগে রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপ থেকে বেসাল্টিক শিলায় শনাক্ত করা হয়েছিল। চাঁদ ও পৃথিবীর বুকে যে খনিজ পাওয়া গেছে তার রাসায়নিক সূত্র (NH4)MgCl3.6H2O। তাদের কেলাসের গঠনও অনুরূপ। চাঁদে প্রায় অভিন্ন এই খনিজ আবিষ্কার আমাদের হদিশ দিতে পারে যে চন্দ্রপৃষ্ঠে জল কোথায় লুকিয়ে আছে এবং কীভাবে সেটি সেখানে পৌঁছেছে। এর আগেও চাঁদ থেকে পাওয়া কিছু নমুনায় জল পাওয়া গেছে। চন্দ্রপৃষ্ঠে স্ফেরুলস তৈরির সময় ছোটো কাঁচের পুঁতির মধ্যে জল আটকে ছিল। তাছাড়াও চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত আলোর বর্ণালীতে জলের সংকেত শনাক্ত হয়েছে যা নিশ্চিত করে চাঁদে কোথাও না কোথাও জল লুকিয়ে রয়েছে। চাঁদের রেগোলিথে খনিজ পদার্থে জল আবদ্ধ থাকে- এটি একটি প্রচলিত ধারণা। পূর্ববর্তী গবেষণায় অবশ্য বলা হয়েছে যে চাঁদের ধূলিকণার সঙ্গে আটকে থাকা হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন মিলে অন্য এক হাইড্রোক্সিল অণুর আকার ধারণ করে। এই অণুতে থাকা হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের অনুপাত জলের থেকে আলাদা। নোভোগ্রেবলনোভাইট পৃথিবীতে খুব কমই তৈরি হয়। জল এবং অ্যামোনিয়া সমৃদ্ধ আগ্নেয়গিরির গ্যাসের সাথে গরম বেসল্টের মিথস্ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয় এই খনিজ। চাঁদে পাওয়া খনিজটি পুরোপুরি এক নয় কারণ এটির মধ্যে পাওয়া ক্লোরিন আইসোটোপটি পৃথিবীতে পাওয়া ক্লোরিন আইসোটোপের থেকে আলাদা। তবে গঠনের প্রক্রিয়াটি এক হতে পারে। আর তাই বিজ্ঞানীদের অনুমান যে অতীতে চাঁদে যখন আগ্নেয়গিরি সক্রিয় ছিল তখন জল এবং অ্যামোনিয়া উভয়েরই অস্তিত্ব ছিল। গবেষণাটি নেচার অ্যা