সবচেয়ে বড়ো আকারের প্রোটিন আবিষ্কার

সবচেয়ে বড়ো আকারের প্রোটিন আবিষ্কার

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৮ আগষ্ট, ২০২৪
সবচেয়ে বড়ো আকারের প্রোটিন আবিষ্কার

সামুদ্রিক শৈবালের একটি প্রজাতিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো প্রোটিন আবিষ্কৃত হয়েছে। এই শ্যাত্তলা সারা বিশ্বে পাওয়া যায় এবং জলজ বাস্তুতন্ত্রের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করে। বৈজ্ঞানিকদের মতে প্রোটিনের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়ো। অ্যালগাল ব্লুমের সময় মাছের মৃত্যুর একটা বড়ো কারণ এই প্রোটিন। মার্কিন বিজ্ঞানীরা প্রিমনেসিয়াম পারভাম বা সোনালী শৈবাল দ্বারা তৈরি এই বিষ-উৎপাদনকারী প্রোটিনটিকে PKZILLA-1 নামে অভিহিত করেছেন। কাল্পনিক চরিত্র গর্জিলার নামানুসারে এই নামকরণ। পি পারভাম কীভাবে এই টক্সিন তৈরি করে তার অনুসন্ধান করার সময় বিজ্ঞানীরা যৌগ সংশ্লেষণের পূর্বে অজানা কিছু পদ্ধতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হয়েছেন যা তাদের মতে নতুন ওষুধ এবং উপকরণ তৈরি করতে সাহায্য করবে। পূর্বে ধারণা ছিল মানুষের পেশিতে টাইটিন নামের অ্যামিনো অ্যাসিড সবচেয়ে বড়ো। এতে প্রায় ৩০,০০০ বা তার বেশি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। কিন্তু PKZILLA-1 প্রোটিন প্রায় ৪৫,২১২টি অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে গঠিত। হিমোগ্লোবিনের আকার মোটামুটি প্রোটিনের গড় আকারের মধ্যে পড়ে আর এতে মাত্র ৫৭৪টি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। পি পারভাম মাছের ফুলকার মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। বিজ্ঞানীরা এখনও হতবাক যে ক্ষুদ্র এককোশী জীব কীভাবে এতো বড়ো জটিল অণু তৈরি করে। তাই গবেষকরা উন্নত জেনেটিক বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে দেখার চেষ্টা করেন কীভাবে এই প্রিমনেসিয়াম টক্সিন তৈরি হয়। তারা দেখেন দুটি অস্বাভাবিকভাবে বড়ো জিন রয়েছে যা PKZILLA-1-এর পাশাপাশি ছোটো PKZILLA-2 তৈরি করে। বিজ্ঞানীরা এই দীর্ঘ রাসায়নিক বিক্রিয়া বিস্তারিতভাবে রেকর্ড করেছেন। জিন আবিষ্কারটি এইক্ষেত্রে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। টক্সিন উত্পাদন শুরুর আগেই এটি শনাক্ত করা যেতে পারে। গবেষকরা মনে করেন যে অন্যান্য অ্যালগাল টক্সিন শনাক্ত করতে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, নতুন গবেষণায় আবিষ্কৃত রাসায়নিক একত্রিত করার কৌশল নতুন ওষুধ এবং উপকরণ তৈরিতেও কার্যকর হতে পারে। গবেষণাটি সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।