সন্তানের সাথে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলে হাসি, মজা

সন্তানের সাথে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলে হাসি, মজা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২১ আগষ্ট, ২০২৪

হাসি, সব রোগের ওষুধ। হাসি, মজা নানা কঠিন পরিস্থিতিও সহজ করে। শুধু তাই নয়, গবেষকরা জানাচ্ছেন, হাস্যরস শিশুকে বড়ো করার জন্য বেশ কার্যকর এক হাতিয়ার।খেলা যেমন শিশুর বিকাশে বড়ো ভুমিকা পালন করে, হাস্যকৌতুক, মজাও তেমন শিশুর বিকাশে সাহায্য করে। পেন স্টেট কলেজ অফ মেডিসিনের পেডিয়াট্রিক্স বিভাগের পাইলট গবেষণা জানাচ্ছে, বেশিরভাগ শিশুর ক্ষেত্রে বাবা-মার যত্নশীল সাহচর্য্য, হাস্যকৌতুক সন্তানদের সাথে তাদের সম্পর্ককে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। এই প্রাথমিক গবেষণায় মানুষের অভিভাবক হওয়ার অভিজ্ঞতা এবং অভিভাবকত্বের অভিজ্ঞতার মধ্যে হাস্যরসের ভূমিকা, কীভাবে সম্পর্ককে প্রভাবিত করে দেখা হয়েছিল। বিভিন্ন মানুষের ওপর সমীক্ষা করে দেখা গেছে যাদের বাবা-মা তাদের বড়ো করার সময় নানাভাবে হাস্যরসের সাহায্য নিতেন, তারা বাবা-মার অবদান ও তাদের সাথে নিজেদের সুসম্পর্কের কথা প্রকাশ করেছেন। গবেষকরা তাদের ফলাফল PLOS One জার্নালে প্রকাশ করেছেন।
গবেষণার সিনিয়র লেখক ও অধ্যাপক বেঞ্জামিন লেভি বলেছেন, হাস্যরস মানুষকে জ্ঞানীয় নমনীয়তা শেখাতে পারে, মানসিক চাপের উপশম করতে পারে এবং সৃজনশীল সমস্যা সমাধান, প্রাণোচ্ছলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, তার নিজের ছোটোবেলায় তার বেড়ে ওঠার সময় তার বাবা হাস্যকৌতুকের সাহায্য নিতেন। তিনিও তার ক্লিনিকে বাচ্চাদের সাথে বা নিজের সন্তানের সাথে নানারকমের মজা করেন। কিন্তু গঠনমূলকভাবে হাসি মজা কীভাবে করা যায়, যাতে শিশুরা সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে? বাবা-মা বা সন্তানের অভিভাবকরা সন্তানকে বড়ো করার সময় কখনও কখনও চাপের পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। হাস্যরস সেই উত্তেজনা প্রশমন করে, বড়ো ছোটো এই বোধের ঊর্দ্ধে গিয়ে উভয় পক্ষকে এই চাপপূর্ণ পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। কিন্তু কোন পরিস্থিতি হাস্যরস ব্যবহার করার জন্য ঠিক নয় তাও বোঝা দরকার।
অধ্যাপক লেভি আশা প্রকাশ করেন, মানুষ হাস্যরসকে কার্যকরী অভিভাবকত্বের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শিখবে। যা তাদের সাথে সন্তানদের নমনীয় সম্পর্ক তৈরি করবে। পাশাপাশি সন্তানের জ্ঞানীয় ও মানসিক নমনীয়তা বিকাশে সাহায্য করবে।