বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সম্প্রতি জানিয়েছে, গোটা বিশ্বে ২৫ কোটির বেশি মানুষ অবসাদে ভোগেন। এক এক দেশে তো প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন মানসিক অবসাদগ্রস্ত। এই অবস্থার সুরাহা করতে বিজ্ঞানীরা বহুদিন থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT) অ্যাপ নামে একটি অ্যাপ তৈরি হয়েছে যার মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত বা অবসাদগ্রস্ত তরুণ তরুণীদের সাহায্য করা যাবে। প্রতিরোধ করা যাবে তাদের অবসাদ এবং গবেষকদের মতে এর মাধ্যমে কম খরচে সাধারণ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য পরিমাপ করা যেতে পারে।
বিশ্বব্যাপী, তরুণপ্রজন্মের মধ্যে উদ্বেগ এবং হতাশার ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। তাই নিয়ে উদ্বিগ্ন সকলেই। ফলে মানসিক স্বাস্থ্য প্রতিরোধের কার্যকরী এবং মাপযোগ্য উপায় প্রয়োজন, এবং সমাধান হিসাবে মোবাইল অ্যাপের মতো ডিজিটাল সরঞ্জামের ব্যবহার প্রস্তাব করা হয়েছে। মানসিক উদ্বেগ, হতাশা ও বিষণ্নতার চিকিৎসায় মানসিক স্বাস্থ্য অ্যাপ ব্যবহার কার্যকরী হওয়া সত্ত্বেও, এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে এই প্রকল্পটিতে এই প্রথম চারটি দেশে এত বড়ো পরিসরে মানসিক স্বাস্থ্য অ্যাপ ব্যবহারের পরীক্ষা হয়েছে। ল্যানসেট ডিজিটাল হেলথ-এ প্রকাশিত এই অধ্যয়নে দেখা গেছে নিজে নিজে ব্যবহারযোগ্য এই CBT অ্যাপটি হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের উপর একটি প্রতিরোধমূলক প্রভাব ফেলে, ফলে জনস্বাস্থ্য উন্নত হয়। এই সেলফ-মনিটরিং অ্যাপে অংশগ্রহণকারীরা প্রতিদিন তাদের আবেগ সম্বন্ধে জানাতে পারে, এবং পরে প্রতি ব্যক্তির প্রয়োজন অনুসারে তাদের অবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখানো হয়। CBT নীতির উপর ভিত্তি করে এই স্ব-সহায়ক অ্যাপটি তৈরি হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের মানসিক স্বাস্থ্য তিন মাস এবং এক বছর বাদে দেখা হয়েছিল। গবেষকদের ধারণা যে সব ব্যক্তিরা অনেক বেশি হতাশাগ্রস্ত তাদের ক্ষেত্রে অ্যাপটি বেশি কার্যকরী। এই শনাক্তকরণ একটি অনলাইন সেলফ-স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা যেতে পারে।