৩০ শে সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুর আকাশ জুড়ে রঙের মেলা। গোলাপি, সবুজ, হলুদ রঙে ছেয়ে থাকা আকাশ যেন শিল্পীর অপূর্ব এক ক্যানভাস। তার দিকে মানুষের মুগ্ধ দৃষ্টি, আর নিজের মুঠোফোনে সেই আকাশকে ধরে রাখার প্রচেষ্টা। তবে শুধু রঙ নয়, এর পেছনে রয়েছে এক বড়ো রহস্য। আমাদের সৌরজগতে এক অতিথি এসেছিল, যার কক্ষপথে এক পাক ঘুরতে ৮০,০০০ বছর সময় লাগে। এই অতিথি হল এক ধূমকেতু। যার পোশাকি নাম নাম সি/২০২৩ A3 (Tsuchinshan–ATLAS)। অতিথির আগমনে রঙিন, উজ্জ্বল হয়ে ওঠা এই আকাশকে কোনো কোনো বেঙ্গালুরুবাসী নর্দার্ন লাইটের সাথে তুলনা করেছেন। রাতের আকাশে আলোর উজ্জ্বল ঘূর্ণায়মান নর্দার্ন লাইট ‘অরোরা বোরিয়ালিস’ নামে পরিচিত।
জানুয়ারি ২০২৩ -এ চিনের পার্পেল মাউন্টেন অবজারভেটারি প্রথম এই ধূমকেতুকে লক্ষ করে। এই ধূমকেতু দেখার এক মাস পরে, এই ধূমকেতুটিকে দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাস্টেরয়েড টেরেস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম (ATLAS) থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। এর অনুকরণেই ধূমকেতুর নামকরণ করা হয়েছে। Tsuchinshan-ATLAS একটা অ-পর্যায়ক্রমিক ধূমকেতু। অর্থাৎ হ্যালির ধূমকেতুর মতো এটা কিন্তু নির্দিষ্ট সময় অন্তর আকাশে উদিত হয়না। বেঙ্গালুরুর আকাশে এর দর্শন আকাশ-দর্শকদের জন্য বিরল এবং উত্তেজনাপূর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। এই ধূমকেতু ৮০০০০ বছরেরও বেশি সময় পর সৌরজগতে পরিদর্শন করছে। এটি পৃথিবী থেকে আনুমানিক ১২৯.৬ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে বর্তমানে সেক্সটান নক্ষত্রমন্ডলে অবস্থিত। আকাশে মিলিয়ে যাওয়ার আগে এই ধূমকেতু অক্টোবরের প্রথম দিকে কয়েকদিন রাতের আকাশে দেখা যেতে পারে।
image credit : X/@aadhyakryl