প্রথম দেখায় মঙ্গল গ্রহের লালচে পাথুরে মাটি মনে হবে।
চারদিকে লালচে পাথুরে মাটি। ধু ধু প্রান্তর বলা চলে। কোথাও উঁচু, আবার নিচু। এই বিরান প্রান্তরে ঘাঁটি গেড়েছেন একদল গবেষক। এমনিতে সুনসান নীরব, তবে মাঝেমধ্যে মৃদু গুঞ্জন তুলে পাশ কাটিয়ে যায় স্বয়ংক্রিয় রোবটযান (রোভার)। দেখলে মঙ্গল গ্রহ মনে হতে পারে। অন্তত লাল গ্রহের যে ছবি আমাদের কল্পনায় আছে, তার সঙ্গে মিলে যায়। জায়গাটি দক্ষিণ ইসরায়েলের মরুভূমিতে। নাম র্যামন ক্র্যাটার। ছয়জনের যে দল সেখানে আপাতত বসতি গেড়েছে, তার মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, একজন মহিলা। মাসখানেক সেখানে থেকে তাঁরা বোঝার চেষ্টা করবেন, মঙ্গল গ্রহের জীবন কেমন হতে পারে। ওই গবেষক দলের একজন অ্যালন টেনজার। গায়ে প্রায় ৫০ কেজি ওজনের যন্ত্রপাতিওয়ালা স্পেস স্যুট চড়িয়ে রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেন। তিনি বলেন, ‘অল্প জায়গায় আমরা ছয়জন কাজ করে যাচ্ছি। অনেক পরীক্ষা চালানোর চাপ আমাদের ওপর। চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। তবে আমাদের সদস্যদের ওপর বিশ্বাস আছে, চ্যালেঞ্জগুলো জয় করবই আমরা।’