বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। সর্বোচ্চ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণে বিশ্ব উষ্ণায়নে যে দেশের ভূমিকা অন্যতম, সেই চিনের প্রধানমন্ত্রী জি জিনপিং থাকছেন না গ্লাসগোর ক্লাইমেট সামিটে। ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এই সম্মেলন। আগামী ১০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রাকে (এখনই ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে) নিয়ন্ত্রণে আনার শপথ নেওয়ার সম্মেলন। কাজ কতটা হবে সেটা সময় বলবে। কিন্তু মৌখিকভাবে যে অঙ্গীকার দেশগুলোর নেওয়ার কথা গ্লাসগোয়, তার আগেই চিনের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে সরিয়ে নিলেন। তার অফিস থেকে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য তিনি দেশ থেকে বেরোচ্ছেন না। পরিবর্তে চিন থেকে গ্লাসগোয় যাচ্ছেন দেশের আবহাওয়া ও পরিবেশমন্ত্রকের বিশেষ দূত জি ঝেনহুয়া। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিনপিং সম্মেলন চলাকালীন অন্যদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছে তার অফিস।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও গ্লাসগোয় যাবেন কি না নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না! দেশের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে এই খবর জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। অথচ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ভারত আর চিন মিলিয়ে! ক্লাইমেট সামিটে থাকবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। ভ্যাটিকান সিটির পোপ ফ্রান্সিসের অফিস থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পোপ ক্লাইমেট সামিটে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। ব্রাজিল, মেক্সিকো, ইরান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরানের প্রেসিডেন্টরাও যাচ্ছেন না গ্লাসগোয়। জাপান জানিয়েছে, তাদের প্রধানমন্ত্রী অনলাইনে সম্মেলনে অংশ নেবেন।
তাহলে গ্লাসগোয় উপস্থিত থাকছেন কারা? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার সঙ্গে ১০-জনের ক্যাবিনেট মন্ত্রী। রানী এলিজাবেথ, প্রিন্স চার্লস এবং প্রিন্স উইলিয়াম উপস্থিত থাকছেন। ২৭-দেশের ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা আর ইউরোপের সমস্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টরা। আফগানিস্তান, ইসরায়েল, কলম্বিয়া এবং আফ্রিকার সমস্ত দেশের প্রেসিডেন্টরা থাকছেন গ্লাসগোয়।