
পায়রাকে যদি আপনি খাওয়াতে ভালবাসেন, তাহলে এই খবরটা আপনার জানা খুব জরুরী। বিগত কয়েক বছরে হুড়হুড় করে বেড়ে চলেছে পায়রার সংখ্যা। এই বিষয় নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথার কোন কারণ ছিল না। কিন্তু গবেষণা বলছে – সময় এসেছে ভাববার ! সাধের ব্যালকনি বা ছাদের এক খোঁচরে বাসা করা বা সাদরে পোষা – পায়রা। আপাত দৃষ্টিতে জায়গা নোংরা করা ছাড়া এরা বড় সড় ক্ষতি করেনা, বলেই ধারণা ছিল। তবে গবেষণা বলছে অন্য কথা।
ফ্লাইং র্যাটস বা উড়ন্ত ইঁদুর ! আসলে, অনেকেই জানেন না, ‘ফ্লাইং র্যাটস’, গোলা পায়রার ডাক নাম। ১৯৬৬ সালে, নামটা প্রথম ব্যবহার করেছিল নিউইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্র। যদিও প্রসঙ্গ ছিল অন্য। ইঁদুর থেকে মানুষের মধ্যে বেশ কিছু ভয়ানক অসুখ ছড়িয়ে পরে। বাড়িতে একটা নেংটি দেখলেও, আমাদের কপালে ভাঁজ পরে। জিনিসপত্র কাটাকুটির থেকে অসুখের ভয়… এখন পায়রা থেকেও নানা রোগের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে মানুষের মধ্যে। সমীক্ষা সেটাই বলছে। বিগত ২৩ বছরে পায়রার সংখ্যা বেড়েছে ১৫০%। আর তা থেকে স্রেফ মুম্বাই এ, হাইপার সেন্সিটিভিটি নিউমোনাইটিসের মতন ফুসফুসের জটিল সংক্রমণ বেড়েছে পাঁচগুণ। এছাড়া ক্ষতির তালিকায় আছে হৃদ রোগ, ফাঙ্গাল ইনফেকশন ইত্যাদি, প্রভৃতি।
এই সব রোগই, পায়রার পালক আর মল থেকে সংক্রামিত হয়। ২০১৬ সালেই এক গবেষণা বলেছিল অন্তত ৬০ ধরনের রোগের কারণ পায়রার মল। আমরা এদের আদর করে খেতে দিই। কোন কোন শহর যেমন দিল্লী, মুম্বাই, কলকাতার কিছু জায়গায় তো এদের জন্য ‘ফিডিং স্পট’ও নির্দিষ্ট করা আছে। খাবারের কোন অভাব না থাকায়, আলাদা করে খাবারের খোঁজে এদের সময় অপচয় হয়না। কসরত করতে হয় কম। সুতরাং অঢেল সময় আর খাবারের নিশ্চয়তার কারনে, এরা মনের সুখে বাসা বাঁধে আর প্রজনন করে। কিন্তু মানুষ এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন নয়। খুব কম মানুষই জানেন তাদের অতি পরিচিত, অতি সাধারণ এই পাখি আসলেই রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এইসমস্ত ‘ফিডিং স্পট’ বা ভোজন-স্থান গুলিকে নিষিদ্ধ করা উচিৎ। ইতিমধ্যে, মুম্বাই এবং পুনের মতন শহরে বেশ কিছু জায়গায় নিষেধনামা জারি করা হয়েছে।