মহাসমুদ্রের তলদেশ। সূর্যের আলোও সেখানে পৌঁছয় না। সেই আঁধারে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে, তা জানতে চান বিজ্ঞানীরা। তাই ভারত মহাসাগরের তলদেশে পাড়ি দিয়েছেন ভারতীয় সমুদ্রবিজ্ঞানীদের দল। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি (এনআইওটি) এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ (এনসিপিওআর) এর বিজ্ঞানীদের একটি দল সমুদ্রের তলদেশে হাইড্রোথার্মাল সালফাইড ফিল্ড অনুসন্ধানের কাজ চালিয়েছেন। জায়গাটি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ দিকে, ৪৫০০ মিটার গভীরতায়, মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতীয় রিজগুলোতে অবস্থিত। ২০২৪ সালের এই যুগান্তকারী অভিযান এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রথম অনুসন্ধান হিসেবে চিহ্নিত। এনআইওটি অনুসন্ধানের জন্য ওশান মিনারেল এক্সপ্লোরার নামে একটি স্বয়ংক্রিয় জলযান ব্যবহার করে। ওএমই ৬০০০। সমুদ্রের তলদেশে অবস্থিত কিছু গর্ত যা থেকে উত্তপ্ত খনিজ সমৃদ্ধ জল প্রবাহিত হয়- সেই ‘ভেন্ট’ সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করেন বিজ্ঞানীরা। ভেন্টগুলো তাদের অনন্য বাস্তুতন্ত্র এবং খনিজ সম্ভারের জন্য পরিচিত। এই তথ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং খনিজ নিষ্কাশন দুইয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রগর্ভে হাইড্রোথার্মাল সালফাইড ক্ষেত্রে সোনা, রুপো ও তামার মতো মূল্যবান খনিজ সম্ভার রয়েছে। এই অভিযানটি ভারতের ডিপ ওশান মিশনের একটি অংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী, ডঃ জিতেন্দ্র সিং, বলেন মহাসাগরের তলদেশে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র পর্যবেক্ষণ করে দেখা, সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত খনিজ এবং সম্পদকে অর্থনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার কারার পাশাপাশি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এই অভিযান দিশা দেখাতে পারে।