২০২৪ সালের নির্বাচিত শব্দ, ব্রেইন রট। মস্তিস্কের পচন। আক্ষরিক অর্থে সু শব্দ নয় বরং এই প্রজন্মের ব্যবহৃত অপবাদই বটে। তবে অক্সফোর্ডের শব্দ ব্যবহারের তালিকায়, প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে ব্রেইন রট শব্দটি।
ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলে কিংবা যে কোন ডিজিটাল মাধ্যমে, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোলিং। কি দেখছি, কেন দেখছি, ভালো লাগছে, ভালো লাগছেনা … কিন্তু দেখে যাচ্ছি! আর তাতেই হয়ে যাচ্ছে বড় ক্ষতি! আমাদের মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটার কমে আসছে, সাথে মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থার বেশ অবনতি হচ্ছে, মনঃসংযোগের আয়ু কমছে, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হচ্ছে এবং মূল জ্ঞানীয় ফাংশনগুলি বিকৃত হচ্ছে। কি ভয়ংকর না!
ম্যাককুয়ারি ইউনিভার্সিটির গবেষক, মোশেল। ইনি ডুমস্ক্রোলিং (বাঁধন ছাড়া স্ক্রোলিং) এর কথা বলছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে বলছেন, “নতুন জিনিস খোঁজা, আমাদের মস্তিষ্কের স্বাভাবিক প্রবণতা। বিশেষ করে যখন এটি সম্ভাব্য ক্ষতিকারক বা উদ্বেগজনক তথ্যের সংস্পর্শে আসে, তখন ব্রেইন আরও বেশি বেশি করে তথ্য চায়।” আর এই প্রবণতাই আমাদের ক্ষতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
দ্য গার্ডিয়ান- হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, এবং কিংস কলেজ লন্ডনের মতো প্রতিষ্ঠানের গবেষণা দ্য গার্ডিয়ান বলছে, এমনটাই। সুতরাং একটা ভাষাগত বিভ্রান্তি নয় বরং গত এক দশক ধরে বৈজ্ঞানিকদের গবেষণায় উঠে আসা চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্যকে সমন্বিত করছে এই একটি শব্দ।
চাঞ্চল্যকর সংবাদ, বিনোদনের নামে আবর্জনা মূলক বিষয়, এক কথায় নিম্নমানের অনলাইনে বিষয়বস্তুর প্রভাবকে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে রট শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে।
মনোবিজ্ঞানী এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর অ্যান্ড্রু প্রজিবিলস্কি বলেছেন, এই শব্দের জনপ্রিয়তা দুর্ভাগ্যবশত “আমরা যে সময়ের মধ্যে বাস করছি, তার লক্ষণ”।
লক্ষণ নয় বরং অলক্ষণ।