কলম্বাসের আটলান্টিক পেরিয়ে আমেরিকা অভিযানের আগেই শুরু হয়েছিল ট্রান্সআটলান্টিক এক্সপ্লোরেশন। প্রাচীনকালে আমেরিকাসে (তখন কানাডা আর আমেরিকা মিলিয়ে আমেরিকাস বলা হত) ইউরোপীয়দের যাতায়াত শুরু হওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন ইতিহাসবিদরা। আদিম ইউরোপীয়দের তখনকার কানাডায় আসার প্রমাণ পেয়েছেন ইতিহাসবিদরা। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডে ভাইকিংরা এসেছিল। সময়টা ইতিহাসবিদরা জানিয়েছেন ১০২১ এডি! যদিও সময়টা নিশ্চিতভাবে গবেষকরা এখনও বার করতে পারেননি।
ভাইকিংরা (এদের নর্সেও বলা হত) প্রথম ইউরোপীয় ছিলেন যারা আটলান্টিক পেরিয়েছিলেন। ইউনেস্কোর তরফে গভীরভাবে গবেষণা করা হয়েছে, ব্যপকভাবে প্রত্নতত্বিকরা মাটিতে নেমে প্রমাণ খুঁজে বার করেছেন। জানা গিয়েছে নিউফাউন্ডল্যান্ড ছিল ভাইকিংদের ‘বেসক্যাম্প’। সেখান থেকে তারা কানাডার অন্যত্রও বাসা বেধেঁছিলেন।
প্রথম সহস্রাব্দে আমেরিকাসে ভাইকিংদের থাকা নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। মূলত প্রত্নতাত্বিক গবেষণা ও তার অস্তিত্ব, অবশিষ্টাংশ থেকে ইতিহাসবিদরা জানতে পেরেছেন আমেরিকাসে ভাইকিংদের থাকার সময়কাল ছিল ৭৯৩ থেকে ১০৬৬ এডি।
কী ছিল ভাইকিংদের জীবিকা? সেই নিয়েও প্রচুর গবেষণা হয়েছে। হয়েছে আইসোটোপিক গবেষণা, প্রত্নতাত্বিক অবশিষ্টাংশের বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ধাতব যন্ত্রের ব্যবহার নর্সেরা করতেন বলে জানা গিয়েছে। গাছ কাটার চল ছিল তাদের মধ্যে। আইসল্যান্ড সাগা থেকে আরও জেনেছেন গবেষকরা যে উত্তর আমেরিকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় ছিল নর্সেদের। দুই প্রজাতির মানুষের মধ্যে ছিল উদ্ভিদ এবং প্রাণী বিনিময়ের। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই বিনিময়ের অসাবধানতাপূর্ণ একটা প্রতিফলন হল প্যাথোজেন ট্রান্সমিশন। নর্সে পুরুষ বা মহিলাদের সঙ্গে উত্তর আমেরিকার স্থানীয় পুরুষ বা মহিলাদের শারীরিক সম্পর্কের ফলেও সৃষ্টি হয়েছিল নতুন জিনোমের।
তাই হয়ত এখনকার মার্কিন নাগরিকদের দেখে বলা হয় ভাইকিংরাই ওদের আদি পূর্বপুরুষ!