
মানসিক স্বাস্থ্য সংকট তখনই দেখা দেয় যখন কোনো ব্যক্তি চাপ, দুঃখ, অসুস্থতা, বা নেশাজাতীয় সমস্যার মতো ঘটনায় অভিভূত হয়ে পড়েন এবং মোকাবিলা করতে অক্ষম। এই সংকট চিহ্নিত করা এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সংকটের লক্ষণ
– দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন (যেমন: স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা, কাজ বা স্কুলে অনুপস্থিতি, ঘুমের সমস্যা)।
– নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া, মেজাজের আকস্মিক পরিবর্তন, আত্মনিয়ন্ত্রণ হারানো।
– নিজের ক্ষতি বা আত্মহত্যার ইচ্ছা, মাদক বা অ্যালকোহলের অপব্যবহার।
– প্রবল ডিপ্রেশন বা উদ্বেগ আশঙ্কায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাইরে সুস্থ দেখালেও ভেতরে সংকটাপন্ন হতে পারেন।
তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ:
– – সরাসরি জিজ্ঞাসা করুন: “আপনি কি নিজেকে আঘাত করার কথা ভাবছেন?” প্রশ্নটি করা নিরাপদ এবং প্রয়োজনীয়।
– শুনুন: বিচার বা সমাধান ছাড়াই মনোযোগ দিন। কখনো কখনো কেবল কথা শুনে নেত্তয়াই যথেষ্ট কাজ দেয়।
-পেশাদার সাহায্য: স্বাস্থ্য বীমা, প্রাথমিক চিকিৎসকের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনলাইন থেরাপি প্ল্যাটফর্মও এক্ষেত্রে সহায়ক।
– তাদের কী প্রয়োজন, তা জানুন। ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বা ক্লিনিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করুন।
– বিচার এড়িয়ে চলুন: “সব ঠিক হয়ে যাবে” বা “অন্যের সমস্যা বেশি” জাতীয় বাক্য বলবেন না। মানসিক সংকটকে তুচ্ছ করবেন না।
সহানুভূতিশীল আচরণ:
– রাগ বা তর্ক এড়িয়ে চলুন। ধৈর্য্য ও সমবেদনা দেখান।
– অনুমতি ছাড়া দেহ স্পর্শ করবেন না ।
– মনে রাখুন, মানসিক সংকট একজন ব্যক্তির দুর্বলতা নয়—এটি একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। পেশাদার চিকিৎসাই সর্বোত্তম সমাধান।
সহায়তা চাওয়া দুর্বলতার পরিচয় নয়: মানসিক স্বাস্থ্য সংকটে সাহায্য চাওয়া বরং সাহসেরই পরিচয়। সঠিক সহায়তা ও চিকিৎসার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সুস্থতা ফিরে পেতে পারেন। প্রিয়জনের পাশে থাকুন, কিন্তু নিজের সুরক্ষা ও সীমার কথাও ভুলবেন না।
তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ, বিচারবিহীন সমর্থন এবং প্রয়োজনীয় সম্পদের সুযোগ একত্র করে সংকটগ্রস্ত ব্যক্তিরা নিরাপত্তা ও সুস্থতার দিকে এগিয়ে যেতে পারেন। এই সমন্বিত পদ্ধতি মানসিক সংকট মোকাবিলায় কার্যকরভাবে সাহায্য করে।
উৎস: ইউ.এস. নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট, মার্চ ২০২৫।