২০৩০-এর বিশ্ব উষ্ণায়নকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে প্রতি বছর খরচ করতে হবে ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার! পরিবহণ, কৃষি এবং বিদ্যুৎ-সমস্ত দিকে এই খরচ করতে পারলে গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ নজরকাড়ার মত কমানো যাবে আর তাতে পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে। ২০১৫-র প্যারিস ক্লাইমেট সামিটে ধনী দেশগুলো অঙ্গীকার নিয়েছিল পৃথিবীর তাপমাত্রাকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কমে নিয়ে আসতে হবে। সাত বছর কেটে গিয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির গতি এগিয়ে চলেছে! ১.৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে চলে গিয়েছে। আরও একটা ক্লাইমেট সামিট চলে এল। ৩১ অক্টোবর থেকে গ্লাসগোয় শুরু হচ্ছে সেই সামিট। দেশগুলো নতুন শপথ নিচ্ছে তাপমাত্রাকে যেভাবেই হোক ২ ডিগ্রির নিচে নামাতে হবে! ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট, যারা এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের এক অধ্যাপক সোফি বোহেম জানিয়েছেন, গ্লাসগো সামিটে সমস্ত রাষ্ট্রপ্রধানদের ‘ক্লাইমেট ফাইন্যান্সের’ এই ছবিটা বুঝতে হবে। না হলে এই শতকের শেষে তাপমাত্রা বেড়ে কিন্তু ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যাবে! যার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর।