আবহাওয়াবিদদের ভবিষ্যদ্বাণী, ২০৩০-এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে বিশুদ্ধ পানীয় জলের যোগান অন্তত ৪০ শতাংশ কমে যাবে! বিশ্বজুড়ে বিশুদ্ধ পানীয় জলের এই গভীর সংকটের অন্যতম কারণ, আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, উষ্ণায়ন। সংকটকে মোকাবিলা করার জন্য বিজ্ঞানীরা জল সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছেন হাওয়া থেকে! অ্যাটমোস্ফিয়ারিক ওয়াটার হারভেস্টর (এডব্লিউএইচ) নামক একটি যন্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা বিজ্ঞানীরা করেছেন। তাদের মনে হচ্ছে, এই যন্ত্রের সহায়তায় হাওয়া থেকে জল বার করে সংগ্রহ করা যেতে পারে। পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি অনুন্নত সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করছেন এবং গবেষকদের পর্যবেক্ষণে, সেই মানুষদের কছে বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়া সবচেয়ে সমস্যার। সেই মানুষদের আছে এই অভিনব পদ্ধতিতে জল পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে।
নেচার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এই গবেষণার কথা প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গুগুল, ইউনেস্কো এবং এক্স-মুনশুট ফ্যাক্টরির গবেষকরা যৌথ উদ্যোগে ইতিমধ্যে একটি মডেল এডব্লিউএইচ তৈরি করে ফেলেছেন যা চলে সৌরশক্তির সহায়তায় এবং যন্ত্রটির অন্যতম উপাদান জলীয় বাষ্পকে ঘনীভূত করার প্রক্রিয়া। যে পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়ার সাহায্যে জলীয় বাষ্পকে ধরে তারপর তাকে ঘনীভূত করে শেষপর্যন্ত জলে রূপান্তরিত করা হবে। জলে গবেষকরা জানিয়েছেন, যে আধারটিতে জল ধরার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটা একসঙ্গে অনেক মানুষের তেষ্টা মেটাতে সক্ষম হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী এখন পৃথিবী জুড়ে ২.২ বিলিয়ন মানুষ নিয়মিত বিশুদ্ধ পানীয় জল পান না! উষ্ণায়ন বাড়তে থাকলে ২০৩০-এর মধ্যে জলের আকাল আরও বেড়ে যাবে। গত তিন বছর ধরে এই গবেষণা চালানোর পর গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন ভবিষ্যতে এই যন্ত্র সফল হবে এবং বিশ্বজুড়ে এর চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা আছে।