এখন নয়। সময়টা প্রায় ১০০ বছর আগের। লন্ডন শহরে প্রায় সমস্ত পেট্রোল চালিত গাড়ির ইঞ্জিন ঠিক রাখার জন্য পেট্রোলের সঙ্গে টেট্রাথাইল-১ সীসা মেশানো হত! ১৯২০-২১ সালের কথা। সেই সময় লন্ডনের মানুষ পেট্রোল আর সীসার কম্বিনেশন থেকে নিঃশব্দে যে মারাত্মক বিষ হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে সেটা বোঝেনি। বরং সীসা মেশানো পেট্রোলে গাড়ির ইঞ্জিন ঠিক থাকছে, তার আয়ু বেড়ে যাচ্ছে, তাতেই খুশি ছিল মানুষ। কিন্তু গাড়ির একজর্স্ট দিয়ে জ্বালানির সঙ্গে সীসাও বেরচ্ছে। সেই সীসা গিয়ে মাটি এবং হাওয়ায় মিশছে। তার ফলেই বায়ুবাহিত এই সীসা ঢুকছে মানুষের ফুসফুসে!
৭০ এবং ৮০-র দশক থেকে মানুষের মধ্যে এই বিষ সম্পর্কে ধারণা এলে তখন পেট্রোলে সীসার ব্যবহার নিষিদ্ধ হতে শুরু করে। এখন পৃথিবীতে ৬টি দেশ ছাড়া (আলজেরিয়া, মায়ানমার, ইয়েমেন, ইরাক, উত্তর কোরিয়া এবং আফগানিস্তান) সমস্ত দেশেই পেট্রোলে সীসার ব্যবহার নিষিদ্ধ।
তারপরেও সম্প্রতি ইংল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথভাবে করা এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, দু’দশক আগে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া সীসা-পেট্রোলের কম্বিনেশনের সেই বিষ এখনও লন্ডন শহরের হাওয়ায় ঘুরছে! একই গবেষণা ব্রাজিলের সাও পাওলোয়ও করা হয়েছিল এবং সেই শহরের বাতাসেও একইভাবে সীসা-জনিত দূষণ দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, শিশুদের জন্য বাতাসে এই সীসার দূষণ বিশেষভাবে বিপজ্জনক। তাদের মস্তিস্কের বড় ক্ষতি হতে পারে।