সমস্তরকমের বর্জ্য পদার্থ। যার থেকে প্রত্যেক মুহুর্তে বাড়ছে দূষণ। যা নিয়ে সারা পৃথিবীর হিমসিম খাওয়ার অবস্থা। সেই পৃথিবীরই এক ছোট্ট দেশ নরওয়ে বর্জ্য থেকে পরিবেশকে বাঁচানোর রাস্তা তৈরি করেছে। গোটা পৃথিবীর কাছে যা অদূর ভবিষ্যতে শিক্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে। বর্জ্যকে মূল্য দিতে শেখাচ্ছে নরওয়ে।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়েছে নরওয়ের রিসার্চ কাউন্সিল এবং ইনোভেশন নরওয়ে নামের এক বেসরকারি সংস্থা। তৈরি করেছে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
যার কাজ শুরু হয় প্রত্যেক শহরের প্রত্যেকটি বাড়ি থেকে! বর্জ্যগুলোকে প্রথমে আলাদা করা হয়। খাবারের বর্জ্য, কাগজ, প্লাস্টিক, বৈদ্যুতিন সংক্রান্ত বর্জ্য, ধাতব বর্জ্য-সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন প্রত্যেক শহরের বাড়ি থেকে এই বর্জ্যের পাহাড় নিয়ে যায় একটি কেন্দ্রীভূত ডাম্পিং এলাকায়। সেখানে গ্যাসীকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই বর্জ্যকে এনার্জি প্লান্টে ঢূকিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে নিয়ন্ত্রিত অক্সিজেনের আবহে ওই বর্জ্যকে ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় গরম করা হয়। গরম করার সময় নির্গত হাইড্রো-কার্বন রিচ সিনগ্যাস পরিষ্কার করা হচ্ছে। সেটা বাস্পে রূপান্তরিত হয়ে টার্বাইনের সহায়তায় আবার রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ শক্তি! এছাড়া বাতাস থেকে সরাসরি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ক্যাপচার করার জন্য নরওয়ের রাজধানী অসলোতে একটি প্লান্ট তৈরি করে ফেলেছে সরকার। আরও তাৎপর্যপূর্ণ যে, দেশের একাধিক বেসরকারি সংস্থা নিজেরাই হাওয়া থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করার জন্য প্লান্ট স্থাপন করেছে। সরকারের নির্দেশ আসার আগেই তাদের এই উদ্যোগ। যাতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ আরও কমানো যায়।
যার ইচ্ছে থাকে সে চেষ্টা করে এবং পারেও!