ডাইনোসর কীভাবে বিলুপ্ত হল সেই নিয়ে প্রাণীবিজ্ঞানীরা এখনও নির্দিষ্টভাবে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। অবিরাম চলছে বিশ্বব্যপী গবেষণা। মানুষের ক্ষেত্রেও কী তাই হবে? অস্ট্রেলিয়ার বিবিডিও নামের একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি ব্ল্যাক বক্স তৈরি করার চেষ্টা করছেন। বিমানের ব্ল্যাক বক্সের মতই, তবে সেই ব্ল্যাক বক্স হবে অনেক জটিল। মানুষ একদিন বিলুপ্ত হয়ে গেলে তার ইতিহাস ধরা থাকবে এই ব্ল্যাক বক্সে! গবেষকরা এরকমও জানিয়েছেন যে, ২০২২-এ ব্ল্যাক বক্স তৈরিও হয়ে যেতে পারে! পরীক্ষামূলকভাবে তার প্রয়োগও করা হতে পারে। গবেষকদের বক্তব্য, ২০২২ থেকে মানব সভ্যতার শেষ লগ্ন পর্যন্ত পরিবেশ সম্পর্কে পুঙ্খ্যানুপুঙ্খ তথ্য ব্ল্যাক বক্স ধরে রাখবে। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ, কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ এবং পরিবেশ সম্পর্কিত অন্যান্য বিশদ তথ্য ধরা থাকবে ব্ল্যাক বক্সে। এখানেই শেষ নয়, গবেষকরা জানিয়েছেন, পরিবেশ সম্পর্কিত পৃথিবী জুড়ে যত আলোচনা হচ্ছে সেটাও সেই বাক্সে সংরক্ষিত থাকবে। থাকবে পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত সমস্ত রকমের নীতির তালিকা। মানবসভ্যতা শেষ হয়ে গেলেও এই যন্ত্র পরবর্তী ৩০ থেকে ৫০ বছর ধরে পরিবেশ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।
কিন্তু গবেষকরা এখনও জানাতে পারেননি, মানবসভ্যতা মুছে যাওয়ার পর এই ব্ল্যাক বক্স খুলবে কে!