আপনি করোনা আক্রান্ত কিনা তা নির্নয়ের পদ্ধতি তো আগেই জানা। কিন্তু কোন ভ্যারিয়েন্টে আপনি আক্রান্ত তা জানার জন্যেও প্রয়োজন পরীক্ষার। এতদিন পর্যন্ত সাম্প্রতিকতম যে ভ্যারিয়েন্ট অর্থাৎ ওমিক্রন তা নির্ণয়ে বিদেশী কিটের ওপরেই নির্ভর করতে হচ্ছিল। কিন্তু এবার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কে চিহ্নিত করতে ব্যবহার করা হবে দেশীয় কিট। এই কিট প্রস্তুত করেছে টাটা মেডিকেল অ্যাণ্ড ডায়গন্সটিক। কিটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওমিসিওর’। ২০২১ এর ৩০ শে ডিসেম্বর এই কিটের অনুমোদনের চিঠি এসেছে আই সি এম আর – এর পক্ষ থেকে। যখন বিদেশী কিটের ওপর নির্ভর করা হয়, তখন বিদেশের ডেটা এবং বিদেশের জেনেটিক সিকোয়েন্সের ওপির ডিপেণ্ড করে কিট টা চালাতে হয়। সেকারণেই দেশে যদি কোনো জেনেমিক সিকোয়েন্স চেঞ্জ হতে শুরু করে তাহলে ওই কিটে অনেক সময় ধরা না পড়তে পারে। আর একটি দিকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেটি হলো অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের দিক। যত বেশি দেশীয় কিট তৈরি হবে ততই এর কস্ট অফ প্রোডাকশন ও মার্কেট কস্টটা কমে আসে। এই সাশ্রয়ের কারণে টেস্টের মূল্য কম হবে। ফলে বেশি সংখ্যক পরীক্ষাও করানো সম্ভব হবে।