দেহঘড়ির কথা

দেহঘড়ির কথা

বিজ্ঞানভাষ
Posted on ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

আমাদের শরীরে অ্যালার্মের মতো কাজ করে দেহঘড়ি। যেকোনো বিপদ-দুর্ঘটনা ঘটার প্রাক্কালে আমাদের সতর্ক করে দেয়। লক্ষাধিক সংবেদনশীল স্নায়ু আমাদের কোষগুলোকে এভাবেই সারাক্ষণ পাহারা দিতে ব্যস্ত। ব্যথার সেন্সর বা নোসিসেপ্টরগুলো তাপমাত্রা, চাপ ও রাসায়নিক সিগন্যাল নির্ণয় করতে পারে। যখনই শরীরে কোনো কিছুর তারতম্য হয়, এসব সংকেত সেন্সরের মাধ্যমে সারা শরীরে খবর পৌঁছে দেয়, সতর্ক করে দেয় আমাদের! উদাহরণস্বরূপ বলি, ধরা যাক শরীরের বাহ্যিক তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি হয়ে গেল কিংবা কমে গেল ১৫ ডিগ্রিরও নিচে, তৎক্ষণাৎ তাপীয় সেন্সর গরম হতে থাকে। শরীরের যেকোনো অস্বাভাবিকতায় নোসিসেপ্টরের দ্রুত কার্যকর হওয়ার ব্যাপারটি একটু জটিল! ধরে নিলাম, এক হাত আগুনের শিখার সংস্পর্শে আছে, তখন নোসিসেপ্টর সবার আগে এ খবরটি পৌঁছে দেবে মেরুদণ্ডে। মস্তিষ্কে খবর পাঠানোর আগেই মেরুদণ্ডে এর প্রাথমিক তথ্যাদি নিয়ে কিছুক্ষণ গবেষণা চলবে। যখন আগুনের সংস্পর্শ থেকে হাত সরিয়ে নিচ্ছি, তখন নোসিসেপ্টর এসব তথ্য সরাসরি মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্টেক্সে পাঠিয়ে দেয়। মস্তিষ্কের এ অংশটি অনুভূতি ও স্মৃতি তৈরি করার পাশাপাশি ব্যথার জটিলতম অনুভূতি তৈরি করে থাকে। আর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পরবর্তী যেকোনো দুর্ঘটনার ব্যাপারেও সচেতন করে দেয়।