মায়ানমারে অনলাইনে অবৈধ প্রাণী ব্যবসা তুঙ্গে

মায়ানমারে অনলাইনে অবৈধ প্রাণী ব্যবসা তুঙ্গে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৫ এপ্রিল, ২০২২

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড ফান্ডের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে মায়ানমারে সংরক্ষিত এবং বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের নিয়ে অবৈধ ব্যবসা তুঙ্গে এবং সেটা হচ্ছে অনলাইনে। তাতে প্রাণীরা যেমন আরও বিপন্ন হয়ে পড়ছে, জনস্বাস্থ্যও প্রভাবিত হচ্ছে। ২০২১-এ মায়ানমারে সেনাবাহিনীর হাতে সরকার চলে যাওয়ার পর থেকে সংরক্ষিত ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের চোরাশিকার ও তাদের নিয়ে অনলাইনে অবৈধ ব্যবসার বাড়বাড়ন্ত। রিপোর্ট জানাচ্ছে ৭৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৭৩ রকমের প্রজাতির প্রাণী, যার মধ্যে ৫৪টি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীও রয়েছে! গবেষকরা এখনও পর্যন্ত সোশ্যাল ওয়েবসাইটে (ফেসবুকে) ৬৩৯টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন। যেখানে ওয়াইল্ড লাইফ ট্রেডাররা বেচাকেনা করে থাকেন। জানা গিয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রুপে রয়েছেন ১৯ হাজার সদস্য। আর কী কী প্রাণী বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে? হাতি, ভাল্লুক, বিশেষ রকমের দীর্ঘভূজ ভাল্লুক, তিব্বতীয় হরিণ, বিপন্ন প্রজাতির প্যাঙ্গোলিন, এশিয়ান দৈত্যাকৃতি কচ্ছপ! রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির বাদঁরের বাচ্চা বিক্রির হার সবচেয়ে বেশি। বেশিরভাগ প্রাণীকেই অবৈধভাবে জঙ্গল থেকে শিকার করা হচ্ছে। ওয়াইল্ড লাইফ রিপোর্ট অনুযায়ী এই অবৈধ প্রাণীব্যবসার মূল বাজার ফিলিপিনস, তাইল্যান্ডের মত প্রতিবেশী দেশগুলোতে। এছাড়াও চিন ও রাশিয়ায়ও ক্রেতার সংখ্যা প্রচুর। এতে বাস্তুতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়ছে। উদ্ভিদ প্রজাতি, প্রাণী-সহ মানুষেরও। কিন্তু সরকারের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই এখনও পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 10 =