সদ্যোজাতের ক্যানসার প্রতিরোধে জিন থেরাপি

সদ্যোজাতের ক্যানসার প্রতিরোধে জিন থেরাপি

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৮ এপ্রিল, ২০২২

ঠাকুমা, বাবা, দুজনেই মারা গিয়েছেন ক্যানসারে। ছেলের রোগেও কি মারণ রোগের অশনিসংকেত? জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে সেটাও জানিয়ে দেওয়া যাবে। ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের জিন তার সন্তানের শরীরেও ওই মারণ রোগ বয়ে আনছে কি না সেটা আগেই জেনে যাবেন বিজ্ঞানীরা। প্রতিকারের দিশাও অনেক আগে পাবেন চিকিৎসকরা।
ব্যতিক্রমী এরকম এক জিনোম সিকোয়েন্স যন্ত্র কলকাতায় প্রথমবার বসল নিউটাউনের জনস্বাস্থ্য গবেষণাগার কেন্দ্র ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ পাবলিক হেলথ অ্যান্ড টেকনোলজিতে। যন্ত্রটির দাম ৬ কোটি টাকা। গবেষক অরিতা আচার্য জানিয়েছেন, প্রথমে অসুস্থ ব্যক্তির ডিএনএ চিহ্নিত করা হবে। তারপর তার কোয়ালিটি পরীক্ষা হবে। সবার শেষে এই যন্ত্রের মধ্যে সেই ডিএনএ-কে ফেলে দেখা হবে তার চরিত্র। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, শরীরে ক্যানসারের জিন পাওয়া গেলেও সেটিকে এই যন্ত্রের সহায়তায় কিন্তু বাদ দেওয়া যাবে না। শুধু আগে থেকে বলে দেওয়া যাবে ক্যানসার আছে কি না। কিন্তু বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, জরায়ুর ক্যানসারে কোনও মহিলা আক্রান্ত হলে সেটা ধরা পড়ে শেষমুহুর্তে এবং চিকিৎসাস্বরূপ চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে জরায়ু বাদ দিয়ে দেন। সেখানে এই যন্ত্র অনেক আগে চিহ্নিতকরণের কাজটা করে দিলে সঙ্গে সঙ্গে জরায়ু বাদ দেওয়ার কাজটা না-ও করতে হতে পারে। উল্লেখ্য, কলকাতার এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেঁছে আমেরিকার জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + ten =