আকাশগঙ্গা ছায়াপথে রহস্যজনক সব গ্রহের সন্ধান দেয় হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। নাসার এই টেলিস্কোপ একটি ফ্লায়িং পর্যবেক্ষণকেন্দ্র। সেই হাবল টেলিস্কোপ এবার জানাল এমন এক গ্রহের কথা যেখানে বৃষ্টিতে জল থাকে না। থাকে বাষ্পীভূত পাথরের কুছি! একইসঙ্গে আরও একটি গ্রহকেও পর্যবেক্ষণ করছে হাবল টেলিস্কোপ। দুটি গ্রহই বৃহস্পতির মতো দেখতে। কিন্তু মূল নক্ষত্রের কাছে থাকায় দু’টি গ্রহকেই প্রতিনিয়ত প্রবল তাপমাত্রা সহ্য করতে হচ্ছে। তাই দুটি গ্রহের তাপমাত্রাও প্রবল। দ্বিতীয় গ্রহটি বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে রয়েছে। তার ওপর মূল নক্ষত্র থেকে পড়ছে তীব্র অতিবেগুনি রশ্মি। এই দুই গ্রহ পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা যে রহস্যময় জগতের সন্ধান পেয়েছেন তার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে দুটো আলাদা গবেষণাপত্রে। এর মাধ্যমে আমাদের ছায়াপথের বহু দূরবর্তী অংশে ঘটে চলা বৈচিত্র, জটিলতা এবং বহিরাগত রসায়ন সম্পর্কে ধারণা করতে পারছেন।
হাবল টেলিস্কোপের সহায়তায় আমাদের সৌরজগতের বাইরের আরও এক গ্রহকে পর্যবেক্ষণ করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে প্রায় ১৩০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে এই গ্রহ। এখানে বায়ুমণ্ডল সিলিকন মনোক্সাইড গ্যাসে ভরা। ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, এই গ্রহে দিনের বেলার আবহাওয়া মেঘ ছাড়াই থাকে। কিন্তু রাতের বেলা এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে কিছু পরিবর্তন ঘটে। বলা ভাল কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে বায়ুমণ্ডল। দেখা যায় মেঘ। সুপার হ্যারিকেনের গতিতে (ঘণ্টায় ২০০০ মাইল) গ্রহের চারপাশে ঘুরতে থাকে মেঘ ও বায়ুমণ্ডলের অন্যান্য বস্তু।