নাসার ভিনগ্রহীদের আমন্ত্রণে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের একাংশের

নাসার ভিনগ্রহীদের আমন্ত্রণে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের একাংশের

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২০ এপ্রিল, ২০২২

সৌরজগতের চৌহদ্দির বাইরে অন্য সভ্যতার খোঁজ করতে উঠে পড়ে লেগেছে নাসা। কিন্তু বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, নাসার এই অতি কৌতূহল পৃথিবীর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে বহির্বিশ্বে সাংকেতিক আমন্ত্রণবার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা। খুব শীঘ্রই সেই বার্তা পৌঁছে যাবে ছায়াপথের বিশেষ বিশেষ অংশে। ভিনগ্রহী বিষয়ক গবেষকদের একাংশের দৃঢ় ধারণা, নাসা-র এই সাহসী পদক্ষেপ পৃথিবীকে বড় ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিতেও পারে। বহির্বিশ্ব অর্থাৎ সৌরজগতের বাইরের ছায়াপথে যে আরও নক্ষত্রমণ্ডল রয়েছে এবং সেই সব অন্য নক্ষত্রের অন্য কোনও গ্রহে যে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণী থাকতে পারে, তা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। সন্দেহ নিরসনে এ বার তাঁরা ঠিক করেছেন, বহির্বিশ্বে পৃথিবীর তরফে একটি সাংকেতিক বার্তা পাঠানো হবে। যাতে পৃথিবীর ঠিকানার পাশাপাশি জানানো থাকবে পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও। থাকবে মহিলা এবং পুরুষের ছবি, সৌরজগতের বিশদ বিবরণ, পৃথিবীতে কী ভাবে আসতে হবে তার খুঁটিনাটি, এমনকি পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ-সহ একটি সাংকেতিক আমন্ত্রণলিপিও। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর আগেও এই ধরনের বার্তা পাঠানো হয়েছিল মহাকাশে। ১৯৭৪ সালে রেডিয়ো টেলিস্কোপের সাহায্যে পুয়ের্তো রিকো থেকে পাঠানো হয়েছিল আরেসিবো বার্তা। তাতেও পৃথিবীর সম্পর্কে কিছুটা একই ধরনের তথ্য দেওয়া ছিল। নাসার সাম্প্রতিক সাংকেতিক আমন্ত্রণপত্রটিকে আরেসিবোরই উন্নততর সংস্করণ বলা চলে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের একাংশের ধারণা, এই আমন্ত্রণে ঝুঁকি আছে।