বুধের পৃষ্ঠে হীরের দ্যুতি!

বুধের পৃষ্ঠে হীরের দ্যুতি!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৮ এপ্রিল, ২০২২

মঙ্গল, বৃহস্পতি নিয়েই কৌতূহল জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের। সেখানে কখনও প্রাণ ছিল কি না, সেখানে জলের অস্তিত্ব কখনও ছিল কি না সেই নিয়েই নাসা এবং আরও অনেক মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের নিরলস গবেষণা চলছে। কিন্তু এবছর, ১০ মার্চ টেক্সাসের উডল্যান্ডসে লুনার অ্যান্ড প্ল্যানেটরি সায়েন্স কনফারেন্সে গ্রহবিজ্ঞানী কেভিন ক্যাননের বক্তব্যে গ্রহদের নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণায় সংযোজিত হল নতুন তথ্য। গ্রহবিজ্ঞানী ও জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের কাছে খুলে গেল নতুন এক দিগন্ত। ক্যানন জানিয়ে দিলেন, সুর্যের সবচেয়ে কাছে থাকা গ্রহ বুধের পৃষ্ঠে অসংখ্য যে বর্জ্য পদার্থের চিহ্ন এতবছর ধরে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা দেখে আসছেন, তার নিচে পড়ে আছে অসংখ্য হীরের কণা! ক্যানন জানিয়েছেন, কয়েক বিলিয়ন বছর আগে বুধকেও নিতে হয়েছিল গ্রহাণু, উল্কা, ধুমকেতুর আঘাত। আর সেই সংঘর্ষেই সৃষ্টি হীরের বলে দাবি ক্যাননের। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এতবছর বিজ্ঞানীদের এই অমূল্য ভাণ্ডারের খোঁজ না পাওয়ার পেছনে ক্যাননের বক্তব্য, বুধের ভূত্বকে গ্রাফাইটের ধুলোর আস্তরণ প্রায় ৩০০ মিটার পর্যন্ত গভীর। তার নীচে পড়ে রয়েছে হীরের টুকরো। ক্যাননের গবেষণা চলে কলোরেডো স্কুল অফ মাইনস ইন গোল্ডেনে। ক্যাননের আরও দাবি, অনেক পরিমাণে হীরে নানারকমের প্রাকৃতিক মহাদুর্যোগে নষ্ট হয়ে গেলেও এখনও যে পরিমাণ হীরে বুধের পৃষ্ঠে রয়েছে সেটা পৃথিবীর অভ্যন্তরে থাকা হীরের তুলনায় ১৬ কোয়াড্রিলন টন বেশি!