চাঁদের মাটিতে সর্ষে জাতীয় গাছের জন্ম!

চাঁদের মাটিতে সর্ষে জাতীয় গাছের জন্ম!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৯ মে, ২০২২

১৯৭২-এ, ৫০ বছর আগে বছর অ্যাপোলো অভিযানের সময়ে চাঁদ থেকে মাটি এনেছিলেন মহাকাশচারীরা। চাঁদের মাটিকে রিগোলিথ বলা হয়। রিগোলিথের কিছু নমুনা সে সময়ে পরীক্ষাগারে ব্যবহার না-করে ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, পরে যখন আরও উন্নত হবে বিজ্ঞান, সে সময়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে। সম্প্রতি সেই মাটির নমুনা গবেষণাগারে নিয়ে গেলেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা করে সেই মাটিতেই প্রথমবার সবুজ প্রাণের সৃষ্টি করলেন বিজ্ঞানীরা। নাসা জানিয়েছে, এই মাটিতে তেমন পুষ্টিগুণ নেই। তবু তারই মধ্যে জন্মেছে অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ানা। এদের জীবনীশক্তি খুব বেশি। অল্পেতে মরে না। গাছটিকে আফ্রিকা ও ইউরেশিয়ায় দেখতে পাওয়া যায়। সর্ষের আত্মীয় বলা যেতে পারে এদের। ব্রকোলি, ফুলকপির মতো ক্রুসিফেরাস জাতের গাছ। গবেষণাগারে এই কাজটি করে দেখিয়েছে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়। নাসার কর্তা বিল নেলসন বলেছেন, “চাঁদ কিংবা মঙ্গলে দীর্ঘ সময়কাল কী ভাবে থাকা যায়, তার ভাবনাচিন্তা চলছে বহুদিন। এ জন্য খাবারের সন্ধান চাই। সেই ব্যবস্থা করা গেলে মহাকাশচারীরা চাঁদে থেকে গবেষণা করতে পারবেন। ল্যাবে চাঁদের মাটিতে গাছের জন্ম, সেই সম্ভাবনার দরজাই খুলে দিল। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কী ভাবে গাছের ফলন সম্ভব, তা-ও বোঝা গেল।” বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পুষ্টিগুণ না থাকলেও চাঁদের মাটিতে কৃষিকাজ সম্ভব। গাছের জন্ম যে সম্ভব সেই নিয়ে তাদের আর কোনও দ্বিধা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + 17 =