বাস্তুতন্ত্রের সংকট রুখতে সংরক্ষিত করতে হবে ৪৪ শতাংশ ভূপৃষ্ঠ!

বাস্তুতন্ত্রের সংকট রুখতে সংরক্ষিত করতে হবে ৪৪ শতাংশ ভূপৃষ্ঠ!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৭ জুন, ২০২২

আজ বিশ্ব জুড়ে বাস্তুতন্ত্র যে ক্রমশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার কারণ সর্বজনবিদিত। দূষণের বৃদ্ধি, অরণ্য নিধন বেড়ে যাওয়া, কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া-সামগ্রিকভাবে এই কারণগুলোই অন্যতম বাস্তুতন্ত্রের ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ার পেছনে। এবার এই মহাবিপর্যয় রুখতে পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের ৪৪ শতাংশ অঞ্চল সংরক্ষিত করার প্রস্তাব দিলেন বিজ্ঞানীরা।

গতকাল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা সায়েন্স-এ প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্রটি। গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকরা। প্রাথমিকভাবে বৈশ্বিক পরিসংখ্যান এবং বিশ্বজুড়ে নগরায়নের হারের ওপর ভিত্তি করে একটি মডেল প্রস্তুত করেছেন গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক জেমস অ্যালান। তিনি দেখিয়েছেন আগামী ২০৩০-এর মধ্যে মানুষের আবাসস্থল তৈরির জন্য ধ্বংস করা হবে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১৩ লক্ষ বর্গ কিমি অঞ্চল। যা আয়তনে দক্ষিণ আফ্রিকার থেকেও বড়ো। মানব সভ্যতার এই অগ্রগতি গ্রাস করে নেবে অসংখ্য বন্যপ্রাণ এবং বিপন্নপ্রায় প্রজাতিকে।
পাশাপাশি তাঁদের তৈরি ডাটা মডেলিং এবং অ্যালগরিদমে উঠে আসছে পৃথিবীর ১৮৭ কোটি মানুষ, অর্থাৎ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ এমন অঞ্চলগুলোয় থাকেন যেখানে সংরক্ষণের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ অঞ্চলই আফ্রিকা, মধ্য আমেরিকা এবং এশিয়ার উন্নত দেশগুলির অন্তর্ভুক্ত। এবং এই সমস্ত অঞ্চলেই কার্বন ফুটপ্রিন্টের পরিমাণ পাড়ছে দ্রুত গতিতে। এভাবেই চলতে থাকলে আগামীদিনে বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রাকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠবে মানব সভ্যতার কাছে।