ভ্যানিশ লাল পাথর!

ভ্যানিশ লাল পাথর!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৭ আগষ্ট, ২০২১

গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। বিখ্যাত গিরিখাত। সপ্তম আশ্চর্যের একটি। এই গিরিখাতের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে কলোরাডো নদী। গিরিখাতের লাল পাথরের চুড়োগুলি এক অসাধারণ সৌন্দর্য নিয়ে ধরা দেয়। ভূতত্ববিদরা জানিয়েছেন, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের লাল পাথরের বয়স এক এক জায়গায় এক একরকম। কোনও অঞ্চলের পাথরের বয়স ২ লক্ষ বছরেরও বেশি। একদম ওপরে যে লাল পাথর দেখা যায়, তার বয়স ৫২ লক্ষ বছরেরও বেশি! আবার বেসমেন্টে থাকা লাল পাথরের বয়স ১৮ লক্ষ বছরের কাছাকাছি। সম্প্রতি, কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ববিদরা অভিযানে গিয়ে হতবাক। অনেক লাল পাথর উধাও! যেগুলোর বয়স ১ লক্ষ বছরেরও বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ববিদদের যে দল এই খাতা দেখছিলেন তার নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক বারো পিক। তিনি গত বছর ওই গিরিখাতের ভিতরে অনেকটা অব্দি গিয়েছিলেন। কিন্ত গিরিখাতের সামনে গিয়েও অধ্যাপক বুঝতে পারেননি ভেতর থেকে অনেক পাথর অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। ফিরে এসে বলেছেন, “বাইরে থেকে মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি। একদম স্বাভাবিক। কিন্তু খুব কাছে গেলে বোঝা যাচ্ছে বেসমেন্টে থাকা ভেতরের অনেক লাল পাথর নেই!”

ভূতত্ববিদরা এখনও নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। অনুসন্ধান চলছে। তবে পিক এবং আরও কয়েকজন ভূতত্ববিদের মনে হচ্ছে, প্রাচীনকালে ওই অঞ্চল জুড়ে আরও একটি মহাদেশ ছিল। তার নাম রোডনিয়া। সেটি প্রাচীনকালেই ধ্বংস হয়ে যায়। ধ্বংস হওয়ার সময় আমেরিকার যে অঞ্চলটি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেটা ক্যানিয়ন। তখনই গিরিখাতের বেসমেন্টে থাকা প্রচুর লাল পাথর প্রচন্ড উত্তাপে গলে গিয়ে সমুদ্রে ভেসে গিয়েছিল। তবে এর পাশাপাশি আর কোনও কারণ আছে কি না সেটা অবশ্য সময় বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + nine =