অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপনে সেঞ্চুরি এসেএসকেম-এর

অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপনে সেঞ্চুরি এসেএসকেম-এর

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ২ জুলাই, ২০২২

অন্য শিশুরা যখন খেলাধুলো করত, তখন মায়ের কোলে উঠে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকত ছোট্ট আফাজ়। কিছু বললেও বুঝতে পারত না। কয়েকটি শব্দ আর ইশারায় বোঝানোর চেষ্টা করত মনের ভাব। একমাত্র ছেলের এমন অবস্থা দেখে দু’চোখের পাতা এক করতে পারতেন না মহেশতলার বাসিন্দা আদিপ মল্লিক। সোমবার চার বছরের সেই শিশুর অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপন করে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাল এসএসকেএম।
২০১৫ থেকে পিজিতে শুরু হয়েছিল অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপন। এই প্রতিস্থাপনের সংখ্যা একশোয় পা দিল। ‘ইনস্টিটিউট অব ওটোরাইনোল্যারিঙ্গোলজি হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি’ বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্তের কথায়, “জন্মগত ভাবে বধির শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর লক্ষ্যে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপন শুরু হয়েছিল। প্রতিটিতেই সাফল্য এসেছে। একশোতম সাফল্যে সকলেই উচ্ছ্বসিত।” ২০১৫ সালে চারটি, পরের বছর সাতটি, ২০১৭-এ ১২টি, ২০১৮-এ ১৬টি, ২০১৯-এ ১৪টি, ২০২০ সালে ৯টি, ২০২১-এ ২৫টি এবং চলতি বছর জুন পর্যন্ত ১৩টি প্রতিস্থাপন হয়েছে।
শিশুদের অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপন করা চিকিৎসক অরিন্দম দাস বলেছেন, “পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে অন্তঃকর্ণে ককলিয়ার যন্ত্র প্রতিস্থাপন করলে খুব ভাল ফল মেলে। এবার শিশুটিকে স্পিচ থেরাপি দিয়ে কথাও বলানো হবে।” চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কেন্দ্রের ‘অ্যাডিপ’ (এআইডিপি) প্রকল্পে প্রত্যেকবছর যে সংখ্যক ককলিয়ার যন্ত্র পাওয়া যায়, সেই মতো অপেক্ষার তালিকা অনুযায়ী প্রতিস্থাপন করা হয়। এখন ৫০ জন অপেক্ষায় রয়েছে। চিকিৎসাধীন আরও ১৫০টি শিশুকে আগামী দিনে প্রতিস্থাপনের আওতায় আনা হবে।