বাংলার মাঠে কালো ধানের চাষ হচ্ছে রমরমিয়ে

বাংলার মাঠে কালো ধানের চাষ হচ্ছে রমরমিয়ে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ১৪ জুলাই, ২০২২

বাঙালির হেঁশেলে এখনও পুরোদস্তুর জায়গা করে নিতে পারেনি কালো চালের ভাত। তবে ক্রমশ সে জনপ্রিয় হচ্ছে। কালো চালের ভাতের অনেক গুণ! কালো চালের ভাতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চালের ভাত ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। একইসঙ্গে সুগার, কোলেস্টেরলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে কালো চালের ভাত। তবে ব্ল্যাক রাইসের চাহিদা শহরে কতটা বাড়ছে সেটা এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান না হলেও বোঝা যাচ্ছে এর উৎপাদন ক্রমবর্ধমান। বাংলার মাঠে ঘাটে সম্প্রতি কালো ভাতের চাষ বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।
এই ধানের চাষে খরচ অপেক্ষাকৃত কম। সেই সঙ্গে বাজারে বিক্রি করলে দামও পাওয়া যায় অনেক। তাই আজকাল চাষিরা এই ধরনের চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামসহ বেশ কিছু এলাকায় কালো ধানের চাষ হচ্ছে রমরমিয়ে। চলতি মরসুমে ঈজতলা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে চারা রোয়ার কাজ। এই সমস্ত অঞ্চলে প্রথমে কৃষি দফতরের উৎসাহেই কালো ধানের চাষ শুরু হয়েছিল। সরকার থেকে চাষিদের বিনামূল্যে বীজধান ও জৈবসার দেওয়া হয়েছিল। এখন বোরো, আমন ধানের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে কালো ধান চাষ।
কালো ধানের ভাতের রং হয় কালো। এই ভাত কিছুটা আঠালো হয়। ফলে দুই কাঠি দিয়ে এই ভাত খাওয়ার চল রয়েছে। সহজেই কাঠির মাধ্যমে কালো ভাত মুখে তোলা যায়। পাহাড়ে এই ভাতের চাহিদা, প্রচলন তুলনামূলক বেশি। ক্রমে সমতলেও তা জনপ্রিয় হচ্ছে।