সিলেটের জলে টর্নেডো!

সিলেটের জলে টর্নেডো!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ৫ আগষ্ট, ২০২২

বাংলাদেশের সিলেট জেলার মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর থেকে আকাশে উঠে যাওয়া এক জলস্তম্ভের ছবি আর ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার বিষয়। ভরা বর্ষায় টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। তেমন বৃষ্টিও নেই। এমন গরমের সময়ে হাওর থেকে জলরাশি ঘূর্ণায়মান বায়ুর টানে হাতির শুঁড়ের মত এগিয়ে যাচ্ছে মেঘের দিকে- এমন দৃশ্য রোমাঞ্চিত করছে সবাইকে। ওই জলস্তম্ভ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন আবহাওয়াবিদরাও। তারা বলছেন, শনিবার বিকালে হাকালুকি হাওরে মানুষ যা দেখেছে, তা আসলে একটি টর্নেডো। স্থলভাগের টর্নেডো যখন জলরাশিকে স্পর্শ করে, তখন প্রবল ঘূর্ণিবায়ুর টানে ফানেলাকৃতি নিয়ে পানি উঠে যায় মেঘের দিকে, যা অনেকটা হাতির শুঁড়ের মত দেখায়। ইংরেজিতে একে বলে ‘ওয়াটারস্পাউট’। হাকালুকিতেও স্বল্প সময়ের জন্য এমন একটি ওয়াটারস্পাউটের দেখা মিলেছে। স্থলভাগে টর্নেডো হলে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে অভাবনীয় ক্ষতি করে যায়। হাকালুকির ওই টর্নেডো জলের ওপর থাকায় উদ্বেগের চেয়ে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে বেশি, কারণ বাংলাদেশে কোনো ‘ওয়াটারস্পাউট’ ছবি বা ভিডিওতে ধরা পড়ল এই প্রথম। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, নির্জন হাওরে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটে থাকলেও তার রেকর্ড নেই। এখন পর্যটকের আনাগোনা বাড়ায় এবং হাতে হাতে মোবাইল ফোন থাকায় বিষয়টি সামনে আসছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, “শনিবার হাকালুকি হাওরে যেটা হয়েছে, সেটা টর্নেডো।… অনেক সময় স্থানীয়ভাবে বাতাসের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তা উপরের দিকে উঠে যায়; আশপাশের ঠাণ্ডা বাতাস তখন দ্রুত বেগে ওই খালি স্থানের দিকে ছুটতে থাকে। তখন টর্নেডোর সৃষ্টি হয়। আর সেই টর্নেডো জলের স্পর্শে এলে তৈরি হয় ফানেল ক্লাউড।”এক আবহাওয়াবিদ জানান, মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় হাকালুকি হাওরের ওই টর্নেডোতে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।