বিজ্ঞানীরা একটি জীবাশ্ম পেয়েছেন পশ্ছিম মিশরের মরুভূমি থেকে। মরুভূমি মানে, ফায়ুম ডিপ্রেশন থেকে। ফায়ুম ডিপ্রেশন আসলে ছিল সমুদ্রের মধ্যের একটা অঞ্চল। আজ মরুভূমি হয়ে গিয়েছে। এখনও সেখানে রয়ে গিয়েছে অনেক ডুবো পাহাড়, অনেকরকমের পাথর আর নানারকমের অজানা রহস্য। সেখান থেকে পাওয়া জীবাশ্ম উদ্ধার করেছে তিমি-রহস্য। ৪৩ লক্ষ বছর আগে তিমি ছিল চারপেয়ে এবং ভয়ঙ্কর হিংস্র! বিজ্ঞানীরা সাধুবাদ জানাচ্ছেন উদ্ধারকারী গবেষকদের। ভাগ্যিস জীবাশ্মটি পাওয়া গেল। না হলে তিমি বিবর্তন নিয়ে গবেষণাটা অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছিল।
এই তিমিটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘ফিওমিসেটাস আনুবিস’। লম্বায় সে ৩ মিটার। আর ওজন? ৬০০ কেজি! এর কথা বিজ্ঞানীরা আগেও শুনেছিলেন। কিন্তু সে যে চারপেয়ে ছিল এবং তার থেকেই তিমি প্রজাতি বিবর্তিত হয়ে আজকের তিমিতে রূপান্তরিত হয়েছে সেকথা উদ্ধার করতে পারেননি। শুধু জানা গিয়েছিল ‘আনুবিস’ হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীনতম তিমি মাছ। আর এই তিমি আফ্রিকার সমুদ্রে থাকত।
তবে এর পরেও, সময়টা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে। কোনও গবেষকদের মতে পাথরের বয়সই তো ১২ লক্ষ বছর, তাহলে তার ভেতর থাকা একটা তিমির বয়স কীভাবে ৪৩ লক্ষ বছর হবে?