অন্ধকারেও সালোকসংশ্লেষ!

অন্ধকারেও সালোকসংশ্লেষ!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ১৭ আগষ্ট, ২০২২

গহন অন্ধকারেও সালোকসংশ্লেষ ঘটালেন একদল বিজ্ঞানী। লেন বিজ্ঞানীরা। সূর্যালোকের অনুপস্থিতিতে কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে গাছপালা বৃদ্ধি করেছেন তাঁরা। আর সেই প্রক্রিয়াই ভবিষ্যতে তাঁদের বড় দিশা দেখাতে চলেছে। এই পদ্ধতি একদিকে পৃথিবীতে গাছ জন্মানোর এক অন্য উপায়ের দিশা যেমন দেখিয়েছে, তেমনই আবার মঙ্গলগ্রহেও কীভাবে ফসল ফলানো যায়, তারও একটা সমাধানসূত্র বের করে দিয়েছে। সম্পূর্ণ অন্ধকারে গাছের জন্ম দিয়ে নজির সৃষ্টি করলেন বিজ্ঞানীরা। সূর্যালোকের অনুপস্থিতিতে কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে গাছপালা বৃদ্ধি করেছেন তাঁরা। আর সেই প্রক্রিয়াই ভবিষ্যতে তাঁদের বড় দিশা দেখাতে চলেছে। এই পদ্ধতি একদিকে পৃথিবীতে গাছ জন্মানোর এক অন্য উপায়ের দিশা যেমন দেখিয়েছে, তেমনই আবার মঙ্গলগ্রহেও কীভাবে ফসল ফলানো যায়, তারও একটা সমাধানসূত্র বের করে দিয়েছে। এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার ফুড জার্নালে। সেখানেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কীভাবে বিজ্ঞানীরা দুই-ধাপের রাসায়নিক পদ্ধতির শরণাপন্ন হয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড, বিদ্যুৎ এবং জলকে অ্যাসিটেটে রূপান্তর করেছেন, যা ভিনিগারের প্রধান উপাদানের একটি রূপ।
কাজটা হয়ে যাওয়ার পরই খাদ্য-উৎপাদনকারী জীবগুলি অন্ধকারে বৃদ্ধি পেতে অ্যাসিটেট গ্রহণ করে। ঠিক যেমনটা সৌরশক্তি প্রবেশ করলে হয়। বিজ্ঞানীরা তখন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সৌর প্যানেল ব্যবহার করেন।
গবেষকরা দাবি করেছেন, এই পদ্ধতিটি খাবারে সূর্যালোকের রূপান্তর দক্ষতা বাড়াতে পারে। কিছু খাবারের ক্ষেত্রে আবার এই পদ্ধতি সূর্যালোকের রূপান্তর দক্ষতা 18 গুণ বেশি কার্যকরী হতে পারে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটা তাঁরা করেছিলেন, তা হল কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো কাঁচামালকে দরকারি পণ্য এবং অণুতে রূপান্তর করতে ইলেক্ট্রোলাইজারের ব্যবহার। এই ইলেক্ট্রোলাইজারের আউটপুট পরিবর্তন করার মধ্যে দিয়েই বিজ্ঞানীরা খাদ্য-উৎপাদনকারী জীবের বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছেন।