প্লাস্টিক দূষণ: সমস্যা, সমাধান এবং বাস্তবতা

প্লাস্টিক দূষণ: সমস্যা, সমাধান এবং বাস্তবতা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩১ আগষ্ট, ২০২২

বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন যে প্লাস্টিক দূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করতে নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। কারণ পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকজাত বর্জ্য। একইসাথে মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকিও বাড়ছে প্লাস্টিক ব্যবহারের কারণে।

সম্পূর্ণভাবে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ এবং মাইক্রোপ্লাস্টিক থেকে দূষণের অবসান ঘটাতে কী ধরনের ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে সে বিষয়ে সায়েন্স জার্নালে একটি চিঠিতে বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞদের একটি আন্তর্জাতিক দল জানিয়েছেন যে আমরা এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ প্লাস্টিক তৈরি করেছি তা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট ক্ষতিসাধন করেছে এবং করে চলেছে। এ বিশ্বকে বাসযোগ্য করতে প্লাস্টিক দূষণ কমাতেই হবে এবং তাই নতুন প্লাস্টিকের উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ জন্য জাতিসংঘ একটি চুক্তি গ্রহণ করেছে। ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্তের পর তার প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, বিশ্বের অনেক জায়গায় প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে এবং তার প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশেও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে গত ১লা জুলাই থেকে। কিন্তু বাস্তবে কী আমরা হাটে-বাজারে প্লাস্টিক ব্যবহার দেখছি না? কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একটি সমীক্ষা বলছে যে দেশে প্রতিদিন ২৬ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। যার মধ্যে মাত্র ৬০ শতাংশ সংগ্রহ করা হয়। বাকি বর্জ্য নদী-নালায় মিশে যায় বা পড়ে থাকে। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের মতে, ভারতে প্রতি বছর ২.৪ লক্ষ টন সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক তৈরি হয়। এই হিসাবে, প্রতি বছর প্রতিটি মানুষ ১৮ গ্রাম একক ব্যবহারের প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন করে।

আইন পাশ হলেও ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে ‘প্লাস্টিক ব্যবহার এবং দূষণ সংক্রান্ত’ জনসচেতনতা এখনও মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। একথা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা না করলে এবং সেই সংক্রান্ত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যৎকে ধ্বংসের মুখে ঠেলা দেওয়া হবে।