পৃথিবী জুড়ে মাথা পিছু বনাঞ্চল কমেছে ৬০%, দাবি গবেষণায়

পৃথিবী জুড়ে মাথা পিছু বনাঞ্চল কমেছে ৬০%, দাবি গবেষণায়

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ লেটার্স নামক জার্নালে হালে প্রকাশিত হয়েছে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিগত ষাট বছরে প্রায় ৮২ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি নষ্ট হয়েছে। তার ফলে মাথা পিছু বনাঞ্চল ৬০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেলো। জীববৈচিত্র্যের ভবিষ্যৎ ফলত অকূলপাথারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিশ্বব্যাপী ১.৬ বিলিয়ন মানুষের জীবনযাত্রা।

রোনাল্ড এস্টোকের নেতৃত্বে জাপানের ফরেস্টারি অ্যান্ড ফরেস্ট প্রোডাক্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের একদল গবেষক অনুসন্ধানটা চালিয়েছিলেন। দেখা গেলো, ১৯৬০ সাল থেকে ২০১৯ অবধি ৮১.৭ মিলিয়ন হেক্টর জঙ্গল সারা পৃথিবীতে কমেছে। যা বোর্নিও দ্বীপের দশ ভাগের বেশি। এই ষাট বছরে নতুন করে জঙ্গল সৃষ্টি হয়েছে যেখানে ৪৩৭ মিলিয়ন হেক্টরের কাছাকাছি, অরণ্য নির্মূল হয়েছে ৩৫৬ মিলিয়ন হেক্টর। স্থান কাল ভেদে গোটা দুনিয়া জুড়েই কীভাবে বনাঞ্চল কাটছাঁট হয়ে এসেছে, সুলুকসন্ধানে বিজ্ঞানীরা গ্লোবাল ল্যান্ড ডেটাসেটের সাথে মিলিয়ে দেখেছেন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হিসেবটা। ১৯৬০ সালে মাথা পিছু বনভূমির পরিমাণ ছিল ১.৪ হেক্টর। সেটাই শতকরা ষাট ভাগের মতো কমে এখন হয়েছে ০.৫ হেক্টর।

জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্রের উপর যেমন বিরূপ প্রভাব পড়বে তেমনই কমবে বনভূমি থেকে যে সব উপযোগ মানুষ এতদিন পেয়ে এসেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এখনও জনগণের একটা বড়ো অংশ জীবিকার প্রয়োজনে অরণ্যের উপর নির্ভরশীল। নিরক্ষীয় অঞ্চলের যে দেশগুলোর জাতীয় আয় কম, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই জঙ্গলের পরিমাণ কমেছে। আবার ক্রান্তীয় অঞ্চলের উন্নত দেশে বনাঞ্চল বৃদ্ধি পেয়েছে শেষ কয়েক দশকে। রোনাল্ড এস্টোকের মতে, এ সমস্যায় উন্নত দেশগুলোর ভূমিকা আরও খতিয়ে দেখা দরকার।