পাট থেকে সন্ধান মিলেছে নতুন অ্যান্টিবডির, যা কিনা কার্যকর হতে পারে মানবদেহে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবরসায়ন ও অণুজীব বিভাগ পাট নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে পাটের ভেতরে সন্ধান পায় অনেক অণুজীবের। অণুজীবগুলির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য জানতে গিয়েই আবিষ্কৃত হয় যে ‘স্টেফাইলোকক্বাস হোমিনিস’ নামের এক ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের মতোই কাজ করছে। এই ব্যাকটেরিয়াটি মূলত পাটের বীজের ভেতর অবস্থান করে। ওই ব্যাকটেরিয়া ও পাটের বিজ্ঞানসম্মত নাম মিলিয়ে অ্যান্টিবায়োটিকের নাম দেওয়া হয়েছে- ‘হেমিকরসিন’। আবিষ্কৃত এই অ্যান্টিবায়োটিকের পাঁচটি ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে এখনও পর্যন্ত। এদের মধ্যে দুটি ভ্যারিয়েন্টের কথা উল্লিখিত হয়েছে ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত জার্নালে। বাকি তিনটি ভ্যারিয়েন্টের কার্যকারিতা নিয়ে চলছে গবেষণা। তবে এক্ষুনিই ‘হেমিকরসিন’ অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে না, প্রয়োজন বিস্তারিত নিরীক্ষার। কিন্তু বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, পাঁচ ভ্যারিয়েন্ট থেকে হয়তো ৫টি অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে।