কথায় না বড়ো হয়ে কাজে বড়ো স্মৃতি

কথায় না বড়ো হয়ে কাজে বড়ো স্মৃতি

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বয়েসে বুড়ো হোক কি ছোকরা, মনে রাখার কাজটা নানান কারণেই খুব সহজ নয়। নিজেদের মতো করে হরেক ফন্দিও আমরা আঁটি যাতে ভুলে যাওয়ার ব্যামোটা কমানো যায়। ক্যানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের গবেষকরা স্মৃতি-বিস্মৃতির খেলা নিয়ে অনেকদিন ধরেই চিন্তাভাবনা করছিলেন। সম্প্রতি ওনারা একটা গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন সাইকোলজিক্যাল বুলেটিন নামের পত্রিকায়।

অন্য সব চিন্তা কোনও ভাবে বন্ধ করতে পারলে বাকি সব চিন্তার কাজকর্ম ছাপিয়ে মন জুড়ে পরিব্যাপ্ত থাকে কেবল স্মৃতিই। এমনটাই মত ওয়াটারলুর পিএইচডি ছাত্র ব্র্যান্ডি রবার্টসের। ইনি কগনিটিভ নিউরোসায়েন্স নিয়ে গবেষণা করছেন এখন। ওনার নিজের ঠাকুমাই বয়সের কারণে স্মৃতিবিভ্রাটে ভুগছিলেন। রবার্টস বলছেন, মনে রাখার খুঁটিনাটি নিয়ে নিখুঁত পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজন এভাবেও অনুভব করা যায়।

কীভাবে একটা তথ্যকে পাকাপাকি ভাবে স্মৃতির ভেতর চালান করা যায়, এটাই ছিল রবার্টসের ডক্টরাল রিসার্চের বিষয়। শারীরিক অনুভূতি বা চোখ দিয়ে বাইরের যে পরিবেশ পৃথিবীকে আমরা বুঝতে শিখি আর তা মনেও রাখতে পারি, এটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহের শেষ নেই। এই গবেষণা থেকে পাওয়া ফলাফল অবশ্যই স্মৃতি উদ্ধারের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে।

এন্যাক্টমেন্ট এফেক্ট। অর্থাৎ, কোনও শব্দ উচ্চারণের সাথে সাথে ব্যবহারিক ঘটনা দিয়ে যদি মনে রাখা হয়, তাহলে সেটা বেশিদিন মাথায় থাকে। যেমন, হাততালি শব্দটা বইতে পড়ার চেয়েও বেশি মনে থাকবে যদি হাততালি দিয়ে শব্দটা মুখে বলা হয়। বাকি অনেক ক্ষেত্রেও এই নিয়ম দিব্বি কাজ করে। স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে বা আরও পরিমার্জিত করার জন্যেও এন্যাক্টমেন্ট এফেক্টের প্রয়োগ করা চলে, এমনই মতামত ব্র্যান্ডি রবার্টসের।