অ্যামেরিকার যুদ্ধের গেম হোক, বা অস্ট্রেলিয়ার অভিনব কর্মশালা। কম্পিউটার মডেলে মহাকাশে বিভিন্ন দুর্ঘটনা কল্পনা করা হয়েছে আগেই। কিন্তু সত্যি সত্যি মহাকাশে বিপদ এড়াতে বিজ্ঞানীরা বেশ চিন্তিত।
স্পেস ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট। স্যাবার অ্যাস্ট্রোনটিক্সের কর্ণধার জেসন হেল্ড কিন্তু বলছেন এখন বিষয়টা বেশ জরুরি হয়ে পড়ছে। শেষ বছরেই কৃত্রিম উপগ্রহের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬০০। অনুমান যে সংখ্যাটা ২০৩০ সালের ভেতর চল্লিশ হাজারে পৌঁছাবে। যন্ত্রপাতির ভাঙা টুকরো আর বাতিল মহাকাশযানের হিসেবটাও নেহাত কম না। হেল্ড প্রশ্ন তুলেছেন এই যানজট মোকাবিলা করার দায়িত্ব কার? দুর্ঘটনা নাকি আক্রমণ বোঝা যাবে কীভাবে? আইনকানুনই বা কে ঠিক করবে? ইত্যাদি…
এই স্যাবার অ্যাস্ট্রোনটিক্স মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে কাজকর্ম করে মূলত অ্যামেরিকা আর অস্ট্রেলিয়ায়। কোন কক্ষপথে কোন দেশের কোন উপগ্রহ ঘুরছে, তাদের গতিবিধি কেমন – এসব সামলাতেই এই সংস্থার জন্ম। হেল্ড জানাচ্ছেন, বানিজ্যিক মহাকাশ অভিযানের ঘটনা বাড়ছে আর তাতে আরও খানিকটা জটিল হয়ে পড়ছে স্পেস ট্রাফিকের ব্যবস্থা। শত্রু দেশের স্যাটেলাইট নষ্ট করতে সাইবার হানাও হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতে পারে।