উজ্জলতম তারাদেরও আয়ু ফুরোয়। তাদেরই মৃত্যু জলদি আসে। কয়েক মিলিয়ন বছরের মধ্যেই ভাঁড়ারের সব হাইড্রোজেন তারা খরচ করে ফেলে। শেষে সুপারনোভা হিসেবে বিস্ফোরণে তাদের ধ্বংস আসে। ঐ নক্ষত্রদের কেন্দ্রমণ্ডল নিউট্রন স্টার অথবা ব্ল্যাক হোলে মিশে যায় শেষমেশ।
কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনও মৃত তারাদের অবশিষ্ট অংশ নিয়ে গবেষণায় এগোতে পারেননি। মহাকাশের ঠিক কোন এলাকায় সেগুলো জমা হয়, তাও বোঝা বা দেখা যায়নি। রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির নতুন গবেষণাপত্র কিন্তু একটা খসড়া উত্তর তৈরি করে ফেলেছে মদেলিং-এর মাধ্যমে।
দেখা যাচ্ছে ছায়াপথ থেকে এসব মৃত তারারা বেরিয়ে চলে যায়। কোনও না কোনও সংঘর্ষে এমন গতিবেগ লাভ করে তারা, যে আকাশগঙ্গার মহাকর্ষ ক্ষেত্র কাটিয়ে বাইরে ছিটকে যেতে পারে মৃত নক্ষত্র। অর্থাৎ, এটা স্পষ্টভাবেই বলা চলে যে সময়ের সাথে সাথে ধারে ভারে কমে যাচ্ছে আমাদের এই ছায়াপথ। আকাশগঙ্গার আশেপাশে বেশ সুষমভাবেই ছড়িয়ে আছে নক্ষত্রের ধ্বংসাবশেষ। একশো আলোকবর্ষ দূরত্বের মধ্যেই। এটাও আশ্চর্য করছে বিজ্ঞানীদের।
রুবিন অবজারভেটরির মতো আরও যত মহাকাশ সমীক্ষার সুযোগ বাড়বে, ততই পরিষ্কার হবে মৃত তারাদের এই নিষ্ক্রমণের ব্যাপারটা। এক প্রকার গ্যালাক্টিক আন্ডারওয়ার্ল্ডের সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে বলে অভিমত মহাকাশ গবেষকদের।
প্রতিবেদনটা প্রথম প্রকাশ পেল ইউনিভার্স টুডে নামের পত্রিকায়।