ছিল গোলাপি গাছ, হয়ে গেল ঝকঝকে সবুজ!

ছিল গোলাপি গাছ, হয়ে গেল ঝকঝকে সবুজ!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১১ অক্টোবর, ২০২২

গ্রিন ফ্লুরোসেন্ট প্রোটিন – সংক্ষেপে জিএফপি। উদ্ভিদের কোষকে সূক্ষ্মভাবে দেখার জন্যে এটাই জীববিজ্ঞানীদের প্রিয় একটা উপায়। অ্যাকোরিয়া ভিক্টোরিয়া নামের জেলিফিশের দেহ থেকে এই জাদু প্রোটিন পাওয়া যায়। এই প্রোটিন অতিবেগুনী আলোতে উজ্জ্বল সবুজ রঙের আভা সৃষ্টি করে।
এবার, অতিবেগুনী পরিবেশে পপ্লার গাছের রঙ গোলাপি থেকে সবুজ করে দেখালেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাপত্র প্রকাশ পেল হর্টিকালচার রিসার্চ নামের পত্রিকায়। জিএফপি-র মতোই আরেক প্রোটিন হচ্ছে eYGFPuv, যা বিশেষত গাছের জন্যেই ব্যবহৃত হয়। এই প্রোটিন সৃষ্টিতে যে জিনের ভূমিকা সেটা ধারন করতে পারে পৃথিবীর মাত্র চারটে গাছ। ছোট হার্বেশিয়াস অ্যারাবাডোপ্সিস, তামাক, লম্বা কাণ্ডবিশিষ্ট সাইট্রাস আর পপ্লার।
ক্লোরোফিল লাল রঙের হয়ে যায় অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে। সুতরাং গাছের দেহে উপরোক্ত জিন না থাকলে তারা গোলাপি হয়ে যায় গাঢ় রঙের আলোতে। এটা যেমন গোটা গাছটার জন্যে প্রযোজ্য, তেমনই গাছের বীজ অথবা পেট্রিডিশ কোষের জন্যেও খাটে।
গবেষকরা eYGFPuv প্রোটিনে মুগ্ধ। ওনারা বলছেন, উদ্ভিদবিদ্যায় ব্যাপক পরিসরে প্রয়োগের সুযোগ আছে।